বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার তিন প্রবাদপ্রতিম পুরুষ পটুয়া কামরুল হাসান, এস এম সুলতান ও কাইয়ুম চৌধুরী। সোমবার এই তিন শিল্পীর অবদান নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন দেশের বুদ্ধিজীবী ও চিত্র সমালোচকরা।বক্তারা বলেন, এই তিন শিল্পীর প্রধান বিষয় ছিল বাংলাদেশ, বাংলার মানুষ ও প্রকৃতি। বাংলার মানুষের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ যেমন তাদের ছবিতে উঠে এসেছে তেমনি বাংলার মানুষের প্রতিবাদের ভাষা দিয়েছে তাদের ছবি। একইসঙ্গে বাংলার চিরায়ত জীবনধারাকে এই তিন শিল্পী তুলে এনেছিলেন তাদের ক্যানভাসে।
দেশের স্বনামধন্য কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের স্মরণ করতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগ আয়োজন করছে ৪৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির স্মরণ অনুষ্ঠান। তারই ধারাবাহিকতায় এ স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।সোমবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর জীবন ও কর্মের ওপর স্মৃতিচারণ করেন প্রয়াত শিল্পীর সহধর্মিণী তাহেরা খানম চৌধুরী ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী শাওন আকন্দ। এ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী নিসার হোসেন। শিল্পী এস এম সুলতানের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী মোস্তফা জামান আর সেই প্রবন্ধের আলোকে আলোচনা করেন শিল্পসমালোচক মঈনুদ্দিন খালেদ।
পটুয়া কামরুল হাসানের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক মফিদুল হক এবং প্রবন্ধের আলোকে আলোচনা করেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক শিল্পী আশরাফুল আলম পপলু।