শাহীন
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় রাস্তা পারাপারের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। সচেতন এলাকাবাসী মহাসড়ক পারাপারে স্থান নির্দিষ্টকরণসহ ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বগুড়া বাজার থেকে গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়কের কোথাও পথচারী পারাপারের নির্দিষ্ট কোন ব্যবস্থা নেই। মহাসড়কের সীমাবাড়ী বাজার, ঘোগা বটতলা,ছোনকা,মির্জাপুর বাজার,শেরুয়া বটতলা,ধুনট মোড়,শেরপুর বাসষ্ট্যান্ড, উপজেলা পরিষদ, কলেজ রোড,থানা রোড, মহিপুর বাজার, গাড়ীদহ বাজার ও দশমাইল বাসষ্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিা প্রতিষ্ঠান। অথচ এসব এলাকায় রাস্তা পারাপারের জন্য নেই কোন ফুটওভারব্রীজ, জেব্রা ক্রসিং কিংবা ¯প্রীডব্রেকার (গতিরোধক) । যার ফলে এসব এলাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যত্রতত্র রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। কেউ কেউ প্রাণহানি ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে।
পথচারীদের পারাপারের স্থান ও সংকেত সুমহ নির্দিষ্ট হলে সাধারণ মানুষের মহাসড়ক পারাপার যেমন সহজতর হতো তেমনি কমতো সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের জন্য সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। অথচ এই আইন সর্ম্পকেও অনেকেই অজ্ঞ। ফলে একদিনে নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যেমন রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁিক তেমনি আইন অমান্য করায় শাস্তিরও বিধান রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, শহরের ধুনট মোড়, বাসষ্ট্যান্ড ও উপজেলা পরিষদের সামনে যদি ফুটওভারব্রীজ নির্মাণ করা হতো তাহলে দুর্ঘটনার ঝুঁিকও কমতো ,যত্রতত্র রাস্তা পারাপারও বন্ধ হতো। এছাড়া শিা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করা হলেও দ্রুতগামী পরিবহনগুলো গতি হ্রাস করতে বাধ্য হতো।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুন্দারহাট ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের পথচারীদের নির্বিঘেœ চলাচল ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য পারাপারের ব্যবস্থা নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশল মো. আশরাফুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।