পৃথিবীটা সত্যিই বড় এক আজব কারখানা। আর আজব এই পৃথিবীততে রয়েছে নানা ধরনের মানুষ। কী অদ্ভুত, তাই না? কিছুটা সরল আবার কিছুটা জটিল। তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
গল্পটা চারজন শিশুকে নিয়ে। চার জনেরই কাঁধে চারটি ব্যাগ। যদিও তাদের কাছে থাকা বস্তুটিকে একই অর্থে ব্যাগ হিসাবে বিবেচনা করে থাকি। কিন্তু আসলেই তাদের জীবন ধারা ভিন্ন।
দুজনের কাঁধে স্কুল ব্যাগ আর বাকি দুজনের কাঁধে জীবিকা নির্বাহের নিমিত্তে থাকে ময়লার ব্যাগ যেটাকে আমরা সাধারণ ভাষায় বলে থাকি বস্তা। সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে বলতে হয় এটা তাদের পথচলার ভিন্ন রাস্তা।
এখানে কেউ জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে হতে চলেছে সুশিক্ষিত আবার কেউ নিয়তির নির্মম পরিহাসের জন্য তাদের কাঁধে চেপেছে টোকাইয়ের বস্তা, যেটা জীবিকা নির্বাহের জন্য। কিন্তু আজ তাদের এই অবস্থার জন্য দোষ দিবেন কাকে? আমাদের এই সমাজ নাকি তাদের কর্ম ফল?
কিন্তু না তাদের কর্ম ফলের জন্য এটা হতে পারে নাহ কারণ তারা তো অবুঝের মতো। তাহলে এর জন্য দায়ী কারা? আপাত দৃষ্টিতে সেটা বলা অনেক বড় কঠিন। হয়তো বা তাদের ভাগ্যের লিখন ই এরকম। কথায় আছে ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন। বিধির বিধানে আবদ্ধ তারা।
আর তার জন্যই আজ একই রক্তে মাংসের হয়েও ভিন্ন ধরনের জীবন যাপন করছে এই মানুষ গুলো।
খালিদ হাসান কুষ্টিয়া
0
Shares
শেয়ার করুন
শেয়ার করুন