নিউজ ডেস্ক
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মানবজাতির মুক্তির লক্ষ্যে এ পৃথিবীতে মহামতি যিশু খ্রিস্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি ছিলেন মুক্তির দূত, আলোর দিশারি। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ সমস্যা সংকুল বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশু খ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ আজ খুবই প্রাসঙ্গিক।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন । নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। রাজনীতির নামে, ধর্মের নামে কেউ যেন এই ঐতিহ্য বিনষ্ট করতে না পারে তার দিকে সকলকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এই ঐহিত্য ধ্বংস করার অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব দেশে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সম্প্রীতি আরও দৃঢ় করবে বলে প্রত্যাশা করে ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, দুর্নীতি-দুবৃত্তায়নমুক্ত, শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য, পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল যিশুখ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারী মানুষের জন্য তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।
তারা বলেন, বড়দিনের উৎসবে মুসলমান সম্প্রদায়ও যোগ দিয়ে থাকে এবং আনন্দ ভাগ করে নেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী অংশ গস্খহন করেছিলেন, তাদের অনেকে শহীদ হয়েছেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও মুসলমান, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্য ধর্মাবলম্বীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় অংশ নিয়েছেন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরাও একাকার হয়ে আছেন এ দেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের সঙ্গে।
নেতৃদ্বয় বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত খ্রিস্টানসহ পৃথিবীর সব খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বড়দিনের উৎসব সার্বজনীনতা লাভ করুক। এ ধর্মীয় উৎসবে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সংহতি গড়ে উঠবে এবং তা বিশ্বভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বরকে ‘বড়দিন’ হিসাবে পালন করেন সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়।