প্রভাবশালী এই নদীগুলোর দু’পাশ নিজেদের আয়তে¦ ধান, বীজ রোপন করে এমনকি বাসযোগ্য করে রেখেছে নদী ভরাট করে। তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে পাকা-আধাপাকা, স্থায়ী-অস্থায়ী, নানা ধরনের স্থাপনা। সিএস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর অংশ থাকলেও আজ তা মানুষের তৈরি ব্যস্ততম শহরের অংশবিশেষ। নদীর নাব্যতা, নদীর চলমান গতি, নদীর সীমানা কোনোটার কোনো মূল্যই নেই এই দখলকারী মানুষ নামের সামাজিক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কাছে। অবৈধ স্থাপনা , অবৈধ দখলকারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয় কী এসব কিছু যদি পরিহার করা যায়, তবেই নদীকে তার জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার কাজটি বাস্তবায়িত হতে পারে বলে মনে করেন সমাজের সচেতন মহল। এখানকার সচেতন মানুষ মনে করে কুলিক নদীর নাব্যতা ফেরাতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্প হাতে নিয়ে সরকারের সম্পদ রক্ষা করা প্রয়োজন। নদী বাঁচলে জীবন বাঁচবে, জীবন বাঁচলে সমাজ ও প্রকৃতি বাঁচবে। কারণ, ‘সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না’। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ,ঠাকুরগাও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ‘ কুলিক নদীটির প্রকল্প লিষ্টে দেওয়া আছে এরং ওটার সার্ভে করা আছে। আশা করছি পাশ হলে খননও হবে, উচ্ছেদও হবে’।