ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় চড়া সুদে টাকা নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে অসহায় কিছু ভোক্তভোগী,এলাকার কিছু চড়া সুদ কারবারীর একটি চক্র অসহায় গরিব মানুষের বিভিন্ন আর্থিক সমস্যার সুযোগে চড়া সুদে টাকা দিয়ে প্রতিমাসে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,চরফ্যাশন পৌরসভার শরিফপাড়ার 5 নং ওয়ার্ডের মো.আজাদ একজন লাইসেন্স বিহীন চিহ্নিত চড়া সুদ কারবারী তার রয়েছে পুরো চরফ্যাশন জুড়ে অবৈধভাবে ছড়ানো ছিটানো বিশাল সুদের কারবার। আজাদ মাসিক কিস্তিতে মোটা অংকের টাকা সুদ আকারে অসহায় সাধারণ মানুষকে প্রদান করে থাকেন। এসকল চড়া সুদের মাসিক কিস্তির টাকা দিতে বিলম্ব হলেই বিভিন্ন হুমকি ধামকী ও ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে লোকদের ধরে এনে চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন।
আজাদের এসকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল করিম বাচ্চু ও সাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন,এই চড়া সুদখোরের খপ্পরে পরে অনেক মানুষ আজ ভিটেমাটি অর্থ সম্পদ হারিয়ে পথের ফকির হয়ে দেশের বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আজাদ মানুষের সমস্যা দেখে নিজে ইচ্ছে করে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসে এবং ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে সাদা ষ্ট্যাম্প ও সাদা চেকে ম্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে সুদের সুদ ও চক্রবর্তী সুদে আসলে টাকার হারে যখন মোটা অংক দাঁড়িয়ে যায় ঠিক তখনই অসহায় মানুষদের উপর চালানো হয় অসহনীয় নির্যাতন। এবং সুদখোর আজাদ তখন অসহায়দের কাছ থেকে ভিটেমাটি জমিজমা সাদা ষ্ট্যাম্প ও চেক দিয়ে সর্বোচ্চ কেড়ে নিয়ে পথের ফকির বানিয়ে ছেড়ে দেন। আর এভাবেই আজাদ নামের এই অমানুষ রাস্তার ভিখারী আজ ভুক্তভোগীদের জমিজমা টাকা পয়সা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করে অজ্ঞাত সম্পদের মালিক বনে গেছেন। ইতিমধ্যে আজাদ বেশ কয়েকজনকে জানে মেরে ফেলবে ও জবাই করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে, আজাদের এই হুমকির কারনে ভুক্তভোগী বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যপারে অভিযুক্ত আজাদকে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এই সুদখোর আজাদের কাছে ভুক্তভোগীদের এক থেকে দেরশত সাদা ষ্ট্যাষ্প ও চেক রয়েছে। যা কোন ভাবেই আইনসঙ্গত নয়,তাছাড়া কোন ব্যক্তির নিকট হতে এভাবে সাদা ষ্ট্যাম্প রাখা সম্পুর্ণ বেআইনি তাই এই সুদখোর আজাদকে আইনের আওতায় এনে তার নিকট জিম্মি সাদা ষ্ট্যাম্প ও চেক উদ্ধার করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
আমাদের খবর / নিউজ ডেস্ক