একটি সেতুর অভাবে মানিকগঞ্জ জেলা সদরের হাজারো মানুষ দিনের পর দিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জেলার সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের বরুন্ডি খেয়াঘাট প্রায় শতাধিক গ্রামের হাজারো মানষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই খেয়াঘাটের নৌকা।
শুধু দক্ষিণ মানিকগঞ্জ এলাকাবাসিই নয়, জেলার হরিরামপুর, সিংগাইর ও ঢাকা জেলার অন্তর্গত দোহার-নবাবগঞ্জ এলাকারও প্রায় শতাধিক গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা কালিগঙ্গা নদীর এই বরুন্ডি খেয়াঘাট। যাতায়াত সমস্যার কারণে সেখানকার সরকারি-বেসরকারি চাকুরিজীবি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন পড়েছেন চরম বেকায়দায়। চাকুরিজীবিদের যেমন নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে যেতে সময়ের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ঠিক তেমনি শিক্ষার্থীরাও তাদের বিদ্যালয়ের যেতে সময়ের বিড়ম্বনায় পড়েন। সেই সাথে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেননা। ফলে বর্তমান আধুনিক যুগে ডিজিটাল স্বপ্নের বাংলাদেশ রুপান্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা একটি বড় অন্তরায় হয়ে দাড়াবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। অন্যদিকে নদীর উভয় পাশে রয়েছে পাকা সড়ক। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ এই খেয়া পারাপার হয়। তা সত্বেও এখানে আজো হয়নি ব্রীজ। তবে স্থানীয়দের দাবির মুখে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের মুখে মিলেছে মাত্র শান্তনার বাণী। এখানে একটি ব্রীজ হবে, স্বপ্ন হবে পূরণ। এ আশাতেই দিন গুনছেন স্থানীয় এলাকাবাসি। স্থানীয় হাটিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা গোলাম মনির হোসেন বলেন, আমি মানিকগঞ্জে খবর নিয়েছি এবং এমপি মমতাজ বেগম মহোদয় এখানে ব্রীজ নির্মাণ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এলজিউডির মানিকগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, হাটিপাড়া কালিগঙ্গা নদীর উপর তিন’ শ মিটার ব্রীজটি নির্মাণে সেখানকার সয়েল টেষ্ট করা হয়েছে। এখন এটি ডিজাইন সেকশনে আছে। উবর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান কাজে হাত দেয়া হবে।