অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আতঙ্কে থাকার কথা জানিয়েছেন বস্ত্রশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ সভাপতিমোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি বলেছেন, সারা বিশ্বে রপ্তানি বন্ধ। ক্রেতারা আক্রান্ত। তারা অর্ডার বাতিল করছেন। শিল্প চলবে কীভাবে? শ্রমিকদের বেতন কীভাবে দেব, বুঝতে পারছি না।
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি বলেন, একের পর এক পোশাকশিল্পের রপ্তানি আদেশ বাতিল হচ্ছে, অথবা স্থগিত করা হচ্ছে। শিল্প-কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখতে বলছেন ক্রেতারা। এখন শ্রমিকদের বেকার বসিয়ে রাখছি। করোনাভাইরাসের প্রভাব নিচের দিকে পড়তে শুরু করেছে। দেশের অর্থনীতি কতটা সামাল দেওয়া যাবে, এটাই এখন মূল বিষয়।
মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন। শিল্পের উৎপাদনে ক্ষতি হবে। এখন সরকারের উচিত হবে আপদকালীন জরুরি তহবিল গঠন করা। শিল্প-কারখানাগুলো যেন বন্ধ না হয়, সেজন্য সরকারের সজাগ থাকতে হবে। জুন পর্যন্ত ব্যাংক সুবিধা দিয়ে কিছুই হবে না। কারণ, দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে ঝুঁকিতে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। শিল্প-কারখানায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে। পোশাকশিল্পের ওভেন খাতে করোনাভাইরাসের প্রভাবে নেতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। এ খাতের ৬০ শতাংশ কাঁচামালই আসে চীন থেকে। করোনা প্রভাব আরও চলতে থাকলে এ খাতে উৎপাদন কমে যাবে। ক্ষতির পরিমাণ হবে বেশি। আর নিট পোশাক খাতের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি হয়। জানি না সামনে কেমন দিন অপেক্ষা করছে।