অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাস (কোভিট-১৯) সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে টাঙ্গাইলে মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। লকডাউন চলাকালে টাঙ্গাইল জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হবে। একই সঙ্গে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার চতুর দিকে চেকপোস্ট বসানো হবে। যাতে করে শহরে বা জেলায় কোন গণপরিবহনসহ কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে। আবার কেউ যেন বাইরে যেতে না পারে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সদর আসনের এমপি মোঃ ছানোয়ার হোসেন, লে: কর্নেল মোহাম্মদ সোহেল রানা, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা: মোঃ ওয়াহীদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মোশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শহীদ উল্লাহ, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, করোনা প্রতিরোধে সকল জনসাধারণকে ঘরে থাকতে হবে এবং সকল সীমান্ত এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে টাঙ্গাইল জেলাকে মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে টাঙ্গাইল যেহেতু উত্তরবঙ্গের ২৬টি জেলার গেটওয়ে। তাই মহাসড়ক বন্ধ করা হবে না। তবে মহাসড়ক থেকে কোন গনপরিবহন শহরে ঢুকতে দেয়া হবে না। এছাড়া টাঙ্গাইল জেলা ও শহরে কোন প্রকার ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ভ্যান বা সকল প্রকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ওষুধ, খাদ্য পণ্যবাহী যানবাহন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, সংবাদকর্মীরা এ সিদ্ধান্তের আওতার বাইরে থাকবে। সভা শেষ করে শহরের ব্যস্ততম পার্কবাজার পরিদর্শন করা হয় এবং বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাঁচা বাজার পার্শ্ববর্তী ঈদগাহ ময়দানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর এই সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনশংখলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।