নিউজ ডেস্কঃ
সম্প্রতি করোনাভাইরাস কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্য পাশাপাশি বেড়েছে সিগারেটের মূল্য, বিপাকে মুদি দোকানদারেরা ।সিগারেট কোম্পানিগুলো সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি না করলেওদোকানদারেরা বিভিন্ন অজুহাতে বাড়িয়ে দিয়েছেন সিগারেটের মূল্য, আশুলিয়া ঘুরে দেখা যায় প্রত্যেকটা দোকানেই বিভিন্ন সিগারেটের মূল্য বেশি নেয়া হচ্ছে একসালা বেনসন সিগারেটের মূল্য ১৩ টাকা বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ১৪/১৫. টাকা । গ্লোলিফ একসলা ১০ টাকা ছিল বর্তমানে ১২ টাকা স্টার ৭টাকা বর্তমানে ৮ টাকা,নবী ৮টাকা ডার্বি বর্তমানে ৫টাকা সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি কারণ জানতে চাইলে দোকানদাররা জানান সিগারেটের মূল্যকোম্পানি থেকে বাড়েনি আমরা গাড়ি থেকে নিলে আগের মূল্যেই পাই কিন্তু গাড়ি থেকে নেওয়ার আগেই সিগারেট কোম্পানিগুলো সাথে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন বড় মুদি দোকানদারের এই সিগারেটগুলো আগেই নিয়ে গুদামজাত করে রেখেছেন । আমরা তাদের কাছ থেকে সিগারেট নিতে গেলে প্রত্যেক কার্টুনে দিতে হয় দুই থেকে ২৫০ টাকা বেশি মূল্যে ।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী এলাকার মুদি দোকানদার ফারুক , ও কালাম জানান বেনস সিগারেট এক কাটুন আগে ছিল ২৪০০ টাকা বর্তমানে ২৭০০ গ্লোলিফ ছিল ১৮২০ বর্তমানে ২০৫০, স্টার আগে ছিল১২৬৫, বর্তমানে ১৪০০, নেভি ১২৫৫ বর্তমানে ১৩৫০, ডার্বি ৭০০ বর্তমানে ৮০০, প্রত্যেক কাটুনের মূল্যের আগের চেয়ে প্রায় ২০০/২৫০ টাকা বেশি আমরা কি করবো বড় বড় দোকানদাররা গাড়ি আসামাত্র সকল সিগারেট গাড়ি থেকে ক্রয় করে গুদামজাত করে বেশি মূল্য নিচ্ছে, সে কারণে আমাদেরও বেশি রাখতে হয় ।
যে সমস্ত দোকানে মূল্য বেশি নিচ্ছে এবং বাসায় এবং বিভিন্ন জায়গায় গোডাউন করা আছে, তাদের মধ্যে পলাশবাড়ী স্পিকার ফ্যর্ম ফ্যামিলি স্টোর প্রোঃ মোঃ নুরুল ইসলাম প্রায় ৭ লক্ষ টাকার সিগারেট গুদামজাত করে বিভিন্ন অজুহাতে অধিক মূল্য বিক্রয় করেছেন, পলাশবাড়ি বাজারের জসিম , পল্লী বিদ্যুৎ বাজার ন্যায্যমূল্য এন্টারপ্রাইজ এর দুইটি এক বগাবাড়ি দুই পল্লী বিদ্যুৎ ও, সততা এন্টারপ্রাইজ নামে বড় দোকান গুলোতে সিগারেটের মূল্য বেশি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা । এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সিগারেট কোম্পানীর হোল সেলারদে সাথে কথা বললে তারা বলেন কোম্পানি কোন সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করেননি আমরা কোথাও কোন দাম বেশি নেই না যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে তাহলে কোম্পানি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।