ছয় বছরের এক শিশু তার চিকিৎসক বাবার কাছে আবেগঘন চিঠি লিখেছে। চিঠিতে করোনাভাইরাসকে মেরে দিয়ে তাড়াতাড়ি বাবাকে বাসায় ফিরতে বলেছে সে।গত ২২ মার্চ থেকে এই চিকিৎসক তাঁর একমাত্র মেয়ে ও পরিবারের অন্যদের থেকে দূরে থাকছেন। এদিনের পর তিনি কর্মস্থল গাজীপুর থেকে আর বাসায় ফেরেননি। তিনি গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত।
করোনাভাইরাস বিস্তারের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই চিকিৎসক গণমাধ্যমে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। তবে তিনি টেলিফোনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে মেয়ের কাছ থেকে পাওয়া চিঠি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে চিকিৎসকদের নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে, চিকিৎসকেরা কর্মস্থলে যাচ্ছেন না।
তবে ঢালাওভাবে এসব অভিযোগ সত্য নয়। দেশের এই পরিস্থিতিতে যে চিকিৎসকই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের এমন গল্প আছে। তাই মেয়ের কাছ থেকে মেসেঞ্জারে চিঠি পেয়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। মেয়ে মেসেঞ্জারে চিঠি দেওয়ার পর ড্রাইভার আমার প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে বাসায় যান। তখন মেয়ে আবার সেই চিঠি ড্রাইভারের কাছে দিয়ে দিয়েছে। আমি চিঠি পড়তে পারব কি না (মেয়ের ধারণা আমি বানান করে পড়তে পারব না), সে চিন্তাও সে করেছে।’