শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার হাসপাতাল রোডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ড্রেনের কাজ করার জন্য রাস্তার মাঝে অহেতুক খুঁটি পুতে রাখায় বিভিন্ন প্রকার যানবহন সহ জনগনের দুর্ভোগ এখন চরমে। ধীরগতিতে ড্রেনের কাজ করার জন্য এক পাশে খুড়ে রাস্তার উপর মাটি রাখায় চলাচলের প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি হয়েছে। একমাত্র ওই রাস্তা দিয়েই হাসপাতালে আসতে হয় উপজেলার শতশত মানুষকে । এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ঔষধ ব্যাবসায়িরাও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে শেরপুর শহরের প্রবেশের ২টি পথ রায়েছে। একটি পৌরশহরের ৭ নং ওয়ার্ডের দুবলাগাড়ী থেকে হাসপাতাল রোড অন্যটি টাউন কলোনী এলাকা হয়ে নন্দীগ্রাম রোড।
হাসপাতালরোডে প্রায় ১ কিলোমিটারের এ রাস্তার মাঝখানে ডা. শামীম আরার বাড়ীর সামনে খুঁটি পুতে রেখেছে ‘এ্যাপোলো’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আবার ধীরগতিতে ড্রেনের কাজ করার জন্য এক পাশে খুড়ে রাস্তার উপর মাটি, খোয়া, বালি রেখে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে থাকে পানি।অন্যদিকে নন্দীগ্রাম থেকে শেরপুর শহরে প্রবেশের টাউনকলোনী এলাকায় ২টি কালভার্ট ভেঙ্গে রাস্তার বেহাল অবস্থা। বৃষ্টি বাদল ছাড়াই রাস্তার উপর জমে থাকে পানি। স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন পরিবহনের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
এসব এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ড্রেন নির্মাণের ফলে সড়ক প্রশস্ত কমে এসেছে। চলতি মৌসুমের আগেই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই রাস্তা খুড়ে মাটি, ইটের খোয়া, বালি, পাথর রাখা হয়েছে রাস্তার উপর এমনিভাবেই রয়েছে। সড়কের মাঝখানে পুতে রাখায় রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসতে ভোগান্তিতে পাড়তে হচ্ছে সবার। বিভিন্ন সময়ে ওই সড়কে চলতে গিয়ে যানজট বেধে যাচ্ছে। এমনকি খুঁটিতে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এলাকার রাস্তার বেহাল দশায় ব্যাবসায়ীকরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে না পারাই তারা ব্যবসাইক ভাবে অনেক ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে।
টাউন কলোনীর বাসিন্ধা আরিফুল ইসলাম জীবন, বিউটি বেগম, ফেরদৌসী বেগম জানান, এই রাস্তার দু-পাশে ড্রেন বন্ধ হওয়ায় পানিগুলো বাসার ভিতরে প্রবেশ করছে। তাই বাসার সামনে উচু করে রাখায় রাস্তার উপর পানি যাচ্ছে। রাস্তায় জমে থাকা পঁচা পানির দুর্গন্ধে দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছি এবং একদিকে করোনা অন্যদিকে আক্রান্ত হচ্ছি বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার এবিএম জাকারিয়া মাসুদ জানান, প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হলেও তেমন সুবিধা নাগরিককে দিতে পারছিনা। রাস্তাটির বিষয়ে মেয়র, ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে বার বার অবগত করার পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।ড্রেন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মেহেদী হাসান অপু বলেন, ওই রাস্তায় একটি নতুন কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে। যাতে কোন ভারি যানবহন কালভার্টের উপর দিয়ে যেতে না পারে তাই খুটি পুতে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র আব্দুস সাত্তার বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। ড্রেনের কাজ হওয়ায় সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অতিদ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।