দেশবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার কারণে এবার রমজান মাস একটু ভিন্নভাবে পালন করতে হচ্ছে। অদৃশ্য এই ভাইরাসের কারণে সবকিছুতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এসময় তিনি তার শহীদ বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া চান।
সোমবার সকাল ১১টায় রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, করোনার কারণে যাদের আয় উপার্জনের পথ নাই তাদের জন্য কিছু আর্থিক সহায়তা আমরা ঈদের আগে দিতে চাই। যাতে ঈদের সময় বা রোজায় কিছু করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়বে। যেখানে এটাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশেও একটা প্রভাব পড়বে। আমাদের দেশকেও মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নিজেকে সুরক্ষা করতে এবং অন্যকে সুরক্ষা রাখতে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রমজান মাসে যেন কেনাকাটা করতে পারে এজন্য দোকানপাট খোলা ও চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি জেলায় ছোট খাট শিল্প চালু রাখাসহ মানুষকে সুরক্ষিত রেখে অর্থনীতিকে চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর এবং গাইবান্ধা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করছেন।
অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস, ত্রাণ বিতরণ ও বোরো ধানের অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক, মেডিকেল সার্জন, পুলিশ কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মসজিদের ইমাম, নার্স, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ছয় দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৬টি জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।