অনলাইন ডেস্ক
পোশাক শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও তাদের বেতন পাওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। আইন অনুযায়ী পোশাক কারখানায় সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্বের মাসের বেতন পরিশোধের নিয়ম। এপ্রিল মাসের বেতন দেয়ার এই সময়সীমা পার হওয়ার পরও অধিকাংশ শ্রমিক বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, অধিকাংশ পোশাক কারখানার মালিক প্রণোদনা পাওয়ার আশায় মার্চ মাসের বেতন সঠিক সময়ে পরিশোধ করেছিল। এরই মধ্যে অধিকাংশ কারখানার মালিক প্রণোদনা পাওয়ার জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ করেছে। তবে তাদের কাঙ্ক্ষিত সময়ে প্রণোদনার টাকা না পেলে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে টালবাহানার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা পোশাক কারখানার মালিকদের মধ্যে দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কোনো শ্রমিকের বেতন যাতে আটকে না যায় এজন্য বিজিএমইএ তদারকি করে যাচ্ছে।তবে শ্রমিক সংগঠনগুলো জানায় এপ্রিল মাসে কয়েকটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। এরমধ্যে কিছু কারখানা তাদের শ্রমিকদের সাথে মৌখিকভাবে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করতে পেরেছে। এর বাইরে যারা সমাধান করতে পারেনি, সেই সব কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।
শ্রমিক নেতারা বলছেন, কোনো কারণে যদি শ্রমিকদের বেতন না হয়। সেক্ষেত্রে শ্রমিকদের সাথে কারখানার মালিক পক্ষের ভালো সম্পর্ক থাকলে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সাথে মালিকপক্ষের সুসম্পর্ক থাকে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে মালিকদের সাথে শ্রমিকদের বনিবনা হয় না। এজন্য শ্রমিকরা মালিকপক্ষের লোকদের উপর আস্থা না রেখে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করে।
পোশাক কারখানা মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এপ্রিল মাসের বেতন মে মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যেই হওয়ার কথা ছিল। তবে অধিকাংশ কারখানাগুলো বেতন দিতে পারেনি। বিজিএমইএ বলছে, আমরা যদি আগে বেতন দিই, তাহলে অন্য কারখানগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ হতে পারে। তাই অর্থ জোগাড় থাকার পরও ১০-১১ মের আগে আমরা বেতন দেব না।
পোশাক কারখানার মালিকরা বলছে, আমাদের বেশিরভাগই ঋণ নিয়ে বেতন দিচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই এই টাকা পেতে একটু দেরি হচ্ছে। এখন কেউ যদি আগে বেতন দিয়ে দেয়, তাহলে এর প্রভাব গোটা শিল্পে পড়তে পারে। শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।