যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হোটেলে গতকাল বসেছিল মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত আসর। তিন ঘণ্টা ধরে টেলিভিশনে এই অনুষ্ঠান দেখানো হয়। সাবেক মিস ইউনিভার্স দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি তুনঝি আন্দ্রের মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন। ভারতীয় প্রতিযোগী অ্যাডলিন ক্যাসেলিনো তৃতীয় রানারআপ নির্বাচিত হয়েছেন। মিস ইউনিভার্স হওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে আন্দ্রে মেজা বলেন, ‘মেক্সিকো, আমার এই বিজয় তোমাদের বিজয়।’ মুকুট জয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তিনি বলেন, ‘এই বিজয় আমার জীবনে বাস্তবে ধরা দেওয়া স্বপ্নের মতো। আশা করছি, আগামীর পৃথিবীতে সমতার জন্য কাজ করে যাব।’
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা আন্দ্রে মেজা মেক্সিকোর চিহুহুয়া সিটির বাসিন্দা। তিনি একজন মডেল, রূপসজ্জাশিল্পী ও উন্নয়নকর্মী। সামাজিক নানা ইস্যুতে যথাসাধ্য ভূমিকা রাখেন তিনি। মিস ইউনিভার্সের নিয়ম অনুসারে, মেজা তাঁর নিজের শহর চিহুহুয়ার জন্য ট্যুরিজম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও কাজ করছেন। মিস ইউনিভার্স ২০১৫ পিয়া আলোনজো ওয়ার্টসবাচ আন্দ্রে মেজাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘শুভেচ্ছা মেজা! আমাদের নতুন মিস ইউনিভার্স, তোমার নতুন জার্নিটা উপভোগের তর সইছে না। অভিবাদন মেক্সিকো।’ এর আগেও দুবার মিস ইউনিভার্স পাওয়া যায় মেক্সিকো থেকে। ১৯৯১ সালে লুপিটা জোনস এবং ২০১০ সালে জিমেনা নাভাররেতে মেক্সিকো থেকে মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন।
এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তানজিয়া মিথিলার। কিন্তু তথ্য গোপনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মূল আসরে তিনি অংশ নিতে পারেননি। তবে মিথিলার দাবি ছিল, চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে না পারার প্রথম কারণ করোনা ভ্যাকসিন নিতে না পারা।
দ্বিতীয়ত ভিসার সাক্ষাৎকারের জন্য যে আবেদন করা হয়েছিল, লকডাউনের কারণে সেই তারিখ বাতিল হয়েছে। তা ছাড়া সময়মতো প্রি-প্রোডাকশন ভিডিও আর ন্যাশনাল কস্টিউমও তৈরি করা হয়নি তাঁদের। ভিসা আবেদনের আগে যে কাজগুলো করতে হয়, সেগুলোর কিছুই করতে পারেননি তিনি। তাই পরে ভিসা অফিস ভিসা ফেসের ডেটই বাতিল করেছে।
এদিকে বিউটি পেজেন্টদের নিয়ে কাজ করা ‘সাশ ফ্যাক্টর’ অনলাইন ম্যাগাজিনের ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০ তানজিয়া জামান মিথিলাকে ঘিরে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
অনেক বাংলাদেশি বিউটি পেজেন্ট মিথিলাকে নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এবং তাঁকে মূল প্রতিযোগিতার জন্য সাপোর্ট করছেন না। এ কারণে মিস ইউনিভার্স ওয়েবসাইট থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে।’