ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় টাউটির আঘাতে আজ মঙ্গলবার অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত শতাধিক। ঘূর্ণিঝড় টাউটির আঘাতে সেখানকার গাছপালা উপড়ে গেছে, মোবাইল টাওয়ার ধসে পড়েছে এছাড়া খুঁটি উপড়ে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝড়টি আঘাত হানার সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
ভারতীয় নৌ-বাহিনী জানিয়ে, মুম্বাই উপকূলে তেল কূপ খননের কাজে নিয়োজিত একটি জাহাজ প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে গেছে। এতে ২৭৩ জন আরোহী ছিল। এদের মধ্যে শতাধিক নিখোঁজ রয়েছেন।দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাহাজ থেকে ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সমুদ্রে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়া সত্ত্বেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবারও নতুন করে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষার জন্য দুই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং কয়েকটি বন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গুজরাটের উপকূলীয় শহর দিউয়ের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট পর্যন্ত বেড়েছিল। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদয় রেগমি বলেন, ভারতের লাখ লাখ লোকের জন্য এই ঘূর্ণিঝড় ভয়ংকর দ্বিগুণ আঘাতের মতো যারা এমনিতেই করোনার রেকর্ড সংক্রমণে পর্যুদস্ত। সংস্থাটি ফাস্ট এইড ও মাস্ক সরবরাহ করে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছে বলেও জানান তিনি। সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আল-জাজিরা