বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় মাত্র বারো দিনের ব্যবধানে দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৪১ টাকা বাড়ছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) চলতি মাসেই স্বর্ণের দাম দুই দফায় বাড়ানোর সিদ্ধান্তে, ভরিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা বাড়ছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় আগামীকাল রোববার (২৩ মে) থেকে দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাজুস। এতে বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার টাকার বেশি হবে।
জানা গেছে, ঈদের আগে ১০ মে দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৩শ’ ৩৩ টাকা বাড়ানো হয়। কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৪১ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাজুস।এখন বাজারে ২২ ক্যারেটের (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের ভরি ৭১ হাজার ৪৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৮ হাজার ২৯৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৯ হাজার ৫৪৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৪৯ হাজার ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গত ১০ মে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৩৪ ডলার। গত দুই সপ্তাহ তা দফায় দফায় বেড়ে ১ হাজার ৮৮১ ডলারে পৌঁছেছে। এখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ৫০ ডলার বেড়েছে।
বাজুসের এক সদস্য বলেন, ঈদের আগেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় দেশীয় বাজারে প্রতি ভরিতে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া যেত। কিন্তু করোনা মহামারিতে স্বর্ণের বেচাকেনা কমেছে। তাই আড়াই হাজার টাকা বাড়িয়েছিল। এখন বিশ্ববাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাধ্যতামূলক দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, চলতি মাসে একবার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফের দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়াবো। আনুমানিক স্বর্ণের দাম দুই হাজার টাকার মতো বাড়তে পারে।
বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বলেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, আবার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ব্যাগেজ রুলে স্বর্ণ আসছে না। এজন্য দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।