আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২২ মে) আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে ২৩ মের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।বর্তমানে লঘুচাপটির বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০-৩৫ কিমি, সর্বোচ্চ বায়ুর ঝাপটা ঘণ্টায় ৪৫-৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর ফলে সাগর এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রচুর মেঘ সঞ্চার ঘটেছে। লঘুচাপটি আগামী ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপে ও আগামী ১৬-২০ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।এদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে শনিবারই বৈঠকে বসেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের অঙ্কুরোদ্গমের খবর দেন আবহাওয়াবিদরা।
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ইয়াস। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, শনিবার বেলা ২টার পরে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলকায়। এটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং ২৬ মে নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই লঘুচাপ রোববার সকালেই নিম্নচাপে রূপ নেবে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটারে উঠতে পারে।
ঝড়ের আগাম সতর্কতা হিসেবে শনিবার বিকালে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির ‘পলিসি কমিটি’র সভা শুরু হয় প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে।
সভার শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি এখনও হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ১ নম্বর দূরবর্তী সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। নিম্নচাপ হওয়ার পর ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে এলে পরবর্তীতে সঙ্কেত বাড়ানো হবে।