রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা:
আদা ঔষুধি গুন সমৃদ্ধ মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে অন্যতম। বৈজ্ঞানিক নাম (তরহমরনবৎ ঙভভরপরহধষব) কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার মেকুরটারী গ্রামে মৃত আব্দুস সাত্তার ব্যাপারীর পুত্র মোঃ সাজেদুল ইসলাম (৪০) পেশায় প্রভাষক হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় কৃষি কাজ করে এলাকায় সুনাম কুড়িয়েছেন।
এই মৌসুমে তিনি অন্যান্য ফসেলের বস্তায় আদা চাষ করেছেন। তিনি জানান অপেক্ষা নিচু জমিতে গত মৌসুমে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় আদা নষ্ট হয়ে যায়। এবারে আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে বস্তায় আদা লাগিয়েছি দিন দিনে চারা গুলো পরিপর্ক হচ্ছে আমার স্বপ্ন ডানা মেলতে শুরু করেছে।
উপজেলার মেকুরটারী ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিলদার হোসেন জানান সাজেদুল ইসলাম আমাদের তালিকা ভুক্ত একজন আর্দশ কৃষক।
বস্তায় আদা চাষের ব্যাপারে আমরা তাকে উদবুদ্ধ করেছি। আদা লাগানোর উপযুক্ত সময় মার্চ/এপ্রিল মাস বেলে দোয়ঁাশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়।
বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হচ্ছে যাদের আবাদি জমি নাই তারাও ইচ্ছা করলে বসত বাড়ীর আঙ্গিনায় সুপারি বাগান কিংবা অন্যান্য পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করতে পারে।
এক একটি বস্তায় একটি করে বীজ আদা রোপন করে ২ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত আদা উৎপাদন করা সম্ভব। বীজ লাগানোর সময় মাটি শোধন করে নিলে আদায় মরক লাগার সম্ভবনা কমে যায়।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আকতার জানান আদা যেহেতু মসলা জাতীয় ফসল প্রত্যেকে যদি বসত বাড়ীতে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় বস্তা পদ্ধতিতে কিছু কিছু আদা চাষ করেন তাহলে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আমাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা গুলোতে আমরা এব্যাপারে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি এমনকি আগামী অর্থ বছরে আদা এবং গোল মরিচ এর উপর আমার নিজ উদ্যেগে অর্থ বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করতেছি।