এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। এছাড়াও জঙ্গীবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা, স্পর্শকাতর ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ক্যাসিনো এবং আইপিএল ভিত্তিক অনলাইন জুয়া বিরোধী অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে র্যাব সদা সচেষ্ট। প্রতারণার নব্য এই কৌশল গুলি কাজে লাগিয়ে সমাজের সহজ সরল নিরীহ কিছু লোককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সুযোগ সন্ধানী অসাধু প্রতারক চক্র দিন দিন তাদের প্রতারণার মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে। এতে ঐ সমস্ত সহজ সরল নিরীহ লোকজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং তৈরী হচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা। এ সমস্ত অপরাধ নিবারণ ও প্রতিরোধ আবশ্যক। এর জন্য প্রয়োজন জনগনের সচেতনতা। এ ধরণের প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৩ জুন ২০২১ ইং তারিখ ২০.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন নয়ারহাট আমগাছী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অনলাইনে জুয়া খেলার অপরাধে ৭৪ পাতা অনুলাইন জুয়ার স্ক্রীন শর্ট, ০২ টি মোবাইল এবং নগদ ২৩,৫০৫/- টাকাসহ আশুলিয়া এলাকার অনলাইন জুয়ারী চক্রের মূলহোতা মোঃ সাগর আহমেদ (৩৮), জেলা- ঢাকা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে। সে অনলাইন জুয়া খেলার ওয়েবসাইট betbuzz365.bet এ প্রদর্শিত খেলাধুলার বাজি পরিচালনা করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগীতায় সে বাজির টাকা ডলার এ কিংবা ডলার টাকায় রুপান্তরিত করে বাজি খেলা পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামী তার নিজ নামীয় ফেইসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জার থেকে জুয়া বিষয়ে চ্যাটিং সহ নিজ বিকাশ নম্বরে টাকার লেনদেন করে থাকত।
জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, betbuzz365.bet নামক ওয়েব সাইটে তার নিজস্ব একটি এ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং উক্ত এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সে অনলাইনে জুয়ার বাজি ধরার টাকা অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগীতায় ডলারের মাধ্যমে লেনদেন ও স্থানান্তর করে থাকে। ধৃত আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা অনলাইন ভিত্তিক betbuzz365.bet নামক ওয়েব সাইটের মাধ্যমে জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশ ও দশের প্রভূত আর্থিক ক্ষতি করে আসছে। এই অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশের টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে।এ
ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে র্যাব-৪ এর এরুপ অনলাইন জুয়া বিরোধী বিশেষ নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।