সাভারে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা কলে লাশ পাট ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটস্থল থেকে নিহত দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের হারুলিয়ার চক থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
নিহতরা হল- বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার পশ্চিম শেওড়া উত্তরপাড়া এলাকার রতনের ছেলে রায়হান (১৭), অপরজন একই এলাকার নেছারমোল্লার ছেলে নাজমুল (১৮)। তারা একে অপরের খালাতো ভাই।
এদের মধ্যে রায়হান হেমায়েতপুরের উত্তর যাদুরচর এলাকায় বাবা মায়ের সাথে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় আল-নাছির ল্যাবরেটরি স্কুলে লেখাপড়া করছিলো। সে এসএসসি পরিক্ষার্থী। অন্যদিকে তার খালাতো ভাই নাজমুল বরিশাল থেকে তাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলো বলে জানিয়ে পুলিশ।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, ভোর রাতে হারুলিয়া এলাকার চকে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পাট খেতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে স্থানীয় কৃষককরা দুই যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে সাভার মডেল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার পরে বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেনি।ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে দুই যুবকের নাম রায়হান ও নাজমুল বলে জানা গেছে।
এদের মধ্যে রায়হানায় যাদুরচর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো এবং তার খালাতো ভাই নাজমুল বরিশাল থেকে বেড়াতে এসেছিলো। তবে কি কারনে এবং কারা তাদেরকে হত্য করছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কাজ করছে পুলিশ। এঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ দিনে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই থেকে পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজনই হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন এবং বাকি দুইজন আত্মহত্যা করেছিলো।