আশুলিয়া দেয়াল ধসে এক নারী পোশাক শ্রমিক নিহত হইয়েছে। ১৬ জুন বুধবার সকাল ৮ ঘটিকার সময় আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকায় মেহেদী হাসান নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের তুট্রিপুর্ণ নির্মানাধিন বাউন্ডারি দেওয়াল ধসে পড়ে প্রিয়া (২২) নামের এক নারী পোশাক শ্রমিক চাপা পড়েন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন। তার গ্রামের বাড়ি বুড়িমারা টঙ্গাবাড়ি থানা জেলা কুড়িগ্রাম।সে প্রাইমটেক্স নামে জামগড়া একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতেন।
সকালে কারখানায় ডিউটিতে যাওয়ার পথে দেওয়াল চাপায় তিনি নিহত হয়। নিহত প্রিয়া বিবাহিত তার ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা বলেন একটি ৮ ফিট উচু বাউন্ডারি দেওয়াল নির্মাণে কোন বিট দেওয়া হয়নাই। যার কারনে দেয়ালটি ঝুকিপুর্ণ ছিল। তার পাশে ইট ও বালু রাখায় দেওয়ালটি ধসে পরে।
এলাকাবাসী বলেন অপরিকল্পিত ভাবে ঝুকিপুর্ণ দেয়াল নিমার্ণ করায় অকালে একটি নারী শ্রমিকের জীবন দিতে হলো। এধরনের অপরাধের বিচার দাবী করেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে জমির মালিক মুক্তার মীর বলেন তিনি মেহেদী হাসান এন্টার প্রাইজের কাছে জমিটি ভাড়া দিয়েছে। বাউন্ডারী দেয়াল মেহেদী করেছেন তার দ্বায়দায়িত্ব সব মেহেদীর।
অন্যদিকে মেহেদীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নিহত প্রিয়ার স্বজনদের সাথে কথা বলে এব্যাপারে মিমাংসা করা হয়েছে।
এঘটনার পর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরত হাল নিয়ে দেওয়াল ধসে নিহত হওয়া স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা কোন অভিযোগ দিতে আগ্রহী না হওয়ায় পুলিশ একটি মিমাংসা কাগজ তৈরী করে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন বলে পুলিশ জানায়।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজামান বলেন থানায় নিহত নারীর স্বজনরা এব্যপারে কোন অভিযোগ না দেওয়ায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারিনাই।
প্রশ্ন হচ্ছে অবহেলায় তুট্রিপুর্ণ নির্মাণের কারনে একটি নারীর অকাল মৃত্যু সে জন্য দায়ী ব্যাক্তিদেরকে পুলিশ কেন আইনের আওতায় না নিয়ে বাচিয়ে দিলো এর জন্য কি কোন প্রশাসনের দ্বায়বদ্ধতা নেই। একটি ভুলের জন্য মেয়েটি মারা গেছে।
তার লাশের ময়না তদন্ত না করিয়ে ছেড়ে দেওয়ায় ঘটনার অপরাধির বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোন ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রইলো কি? ।
এলাকাবাসীর জোর দাবী এধরনের অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে যেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।