করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের মধ্যে ৩৩৩ নম্বরে কল করে পাওয়া যাবে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের খাদ্যসামগ্রী।
কর্মহীন মানুষকে এ পদ্ধতি ছাড়াও যেকোন সময় প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী।
অল্প আয়ের পরিবারকে যাতে না খেয়ে থাকতে না হয়, এ জন্য আগের মতো বাড়িতে বাড়িতেও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। একইভাবে জেলার চারটি উপজেলাতেও ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহমেদ হাছান বলেন, কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন কঠোরভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। অল্প আয়ের মানুষ যারা ঘর থেকে বের হতে পারবে না, তাদের তালিকা অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। বিশেষ করে ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে যদি ভুল তথ্য দেওয়া হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার বলেন, আমরা করোনার শুরু থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চালু রেখেছে। আজ বৃহস্পতিবার কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। এ সময় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তাদের খাদ্যসামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসামগ্রী নিতে পারবেন আয় হারানো মানুষ।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোর আলী বলেন, আমরা আগের লকডাউনের মতোই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চালু রাখবো। কর্মহীন মানুষ যাতে খাবারে কষ্ট না পায় সে জন্য সব চেস্টা করা হবে। এ জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে জেলা প্রশাসনের।
প্রকৃতপক্ষে এ লকডাউনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তারা যদি ৩৩৩ নম্বরে কল করেন, তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে কেহ সাহায্যের জন্য উপযুক্ত না হয়েও এ নাম্বারে কল করলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে ।