জাকির সিকদার, রাজাপুর :
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। ডাষ্টবিন না থাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফলে আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার ব্যাপারে নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। পথে পথে আবর্জনার কারনে আবর্জনার শহরে পরিনত হচ্ছে রাজাপুর উপজেলা সদর। কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গড়ে না ও
ঠায় দুর্গন্ধে বাতাস দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে জমে থাকা ময়লা যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুর্গন্ধে আবাসিক এলাকার মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিসগামী মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে টিএন্ডটি অফিসের (পশ্চিম-দক্ষিন) দুই পাশে, বাগরি বাজারের খালে, রাজাপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে সরকারি পুকুরের পাড়ে, বাজার ব্রিজ এর নিচে ও বাজারের খালে, মেডিকেল মোড়ে, বাইপাশ মোড়ে ও বাইপাশ খালে, পুরাতন জেলখানার পশ্চিম পাশে মহাসড়কের পাশেসহ সদরের মূল স্থানগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ একাকার। উপজেলা সদরে কোথাও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় সদরবাসী পলিথিনে ভরে সড়কেই ফেলে রাখছেন আবর্জনা। দিনের পর দিন ময়লা পড়ে থাকছে। ফলে বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লার স্তূপ যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে মশা-মাছির আবাসস্থল।
দিন দিন এ ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা সদর জুড়েই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে অলিগলিতে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, এ কারনে পথচারীরা স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারেনা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। আরো জানা যায়,
বাঘড়ী হাটের ময়লা, বাজারের ময়লা, হোটেল রেস্টুরেন্ট এর ময়লা,দধির বড়ো বড়ো হাঁড়ি, অগণিত পলিথিন সব খালে ও বিভিন্ন রাস্তার পাশে, ডোবায় ফেলা হচ্ছে, ফলে খালগুলি দ্রুত ভরে যাচ্ছে ও রাস্তায় চলতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।
উপজেলা সদরে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে সরকারি ২ টি পুকুরে পলিথিনসহ ময়লা আবর্যনা ফেলার ফলে পুকুর ২ টি মাচ চাষের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
সদরবাসী জানান, আবর্জনার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। রাস্তা-ঘাটে যত্রতত্র ময়লা ও আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, সৃষ্টি হয় বিকট দুর্গন্ধ। উপজেলা সদরে কোথাও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে তারা। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে সাধারন পথচারীরা।
উপজেলার ব্যবসায়িরা জানান, উপজেলা সদরে আবাসিক বসতবাড়ি, দোকান, হোটেল,রেস্টুরেন্ট, কনফেকশনারি, কয়েকটি ক্লিনিক, হাট বাজারের ডাক ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ বছরে অনেক টাকা নিলেও তাদের থেকে সেবা পাচ্ছেনা জন-সাধারণ ও ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলো।
৬নং মঠবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল সিকদার বলেন, উপজেলার বৃহত্তর হাট-বাজার বাগড়ি বাজারে ময়লা পরিস্কার করার জন্য এক জন কর্মী রয়েছে, সে বাজার শেষ হলে বাজার পরিস্কার করে বাজারের ময়লা ফেলার নিধারিত স্থানে ফেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন বলেন, এই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে, স্থায়ী ভাবে সমাধানের জন্য সবার সাথে আলোচনা চলছে, আলোচনা শেষ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।