করোনা ও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা আলাদা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে কয়েকটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রবিবার (২৫ জুলাই) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে নতুন সংকট তৈরি করেছে ডেঙ্গু। প্রতিদিনই বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। যাদের অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সুনির্দিষ্ট হাসপাতাল ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিচ্ছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তথ্যমতে, ‘বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। প্রায় ১২শ’ রোগী ইতোমধ্যে ভর্তি হয়েছে। আমরা একদিকে নন কোভিড রোগীর চিকিৎসা, অপরদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, অন্যদিকে টেস্ট ও ভ্যাকসিন সব মিলিয়ে একসঙ্গে করতে হচ্ছে। তাই আমরা আজকে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল চিহ্নিত করেছি, যেখানে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবো। কারণ, যেখানে করোনা রোগীর চিকিৎসা হয়, সেখানে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর যাদের হেমোরেজিক বা শক সিনড্রোম দেখা যাচ্ছে না বা যারা খুব দুর্বল হয়ে পড়ছেন না, তারা পরীক্ষাও করাতে যাচ্ছেন না। ফলে অনেক রোগী থেকে যাচ্ছেন শনাক্তের বাইরে। এছাড়া এখানে শুধু হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দেখানো হয়। কিন্তু কতজন পরীক্ষা করে পজিটিভ হয়েছেন, অর্থাৎ ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত সংখ্যা জানানো হচ্ছে না।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতালসহ আরও কয়েকটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হবে। অন্যান্য হাসপাতালে জায়গা নেই। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।