পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ১৫১ ধারায় পুলিশ শহিদুল ইসলাম স্বপন (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে। সোমবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বাড়ির পাশ থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
আটক যুবকের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে এক গৃহবধূ ও স্থানীয় মসজিদের ইমামকে রাতভর বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রাখে গ্রামবাসী। এই ঘটনার জেরে স্বপনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে রবিবার দিবাগত রাত একটার দিকে এক গৃহবধুর ঘরে পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম প্রবেশ করে। বিষয়টা জানাজানি হলে গ্রামবাসী তাদেরকে আটক করে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে রাতভর বেঁধে রাখে। পরে সকালে গ্রামের সচেতন কয়েকজন মানুষের প্রতিবাদে তাদেরকে বাঁধন মুক্ত করে।
এরপর দীর্ঘক্ষন গ্রাম প্রধানরা সালিশ বৈঠক করে উভয় পরিবারের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নিয়ে বিষয়টি সমাধান করেন। এতে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ না থাকায় অভিযুক্ত ইমামকে পুলিশে না দিয়ে চাকরিচ্যুত করে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই ইমাম পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে এ ঘটনায় গ্রামে গতকাল সকাল থেকেই মানুষের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। প্রকাশ্যে খুঁটির সঙ্গে একজন নারীকে বেঁধে রাখা নিয়ে গ্রামের কিছু মানুষ প্রতিবাদ করে বিচার দাবি করেন। এ অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাতে ওই এলাকার যুবক স্বপনকে পুলিশ আটক করে।
স্বপনের চাচা গুলজার হোসেন বলেন, গ্রামের এক গৃহবধূ ও ইমাম আটকের ঘটনায় পুলিশ স্বপনকে এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পরে রাতে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু কোন অভিযোগে তাকে আটক করে নিয়ে যায় তা জানি না। তবে স্বপন ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাত্র। সে ওই গৃহবধূকে বেঁধে রাখার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন তার চাচা।
ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, শুনেছি স্বপনকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। তবে কেন নিয়ে গেছে বিষয়টি জানা নাই।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, স্বপন আটকের সঙ্গে গৃহবধূ ও ইমামের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই স্বপনকে ১৫১ ধারায় আটক করা হয়েছ। তাকে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।