নিয়মনীতিহীন আইপি টিভির বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রী ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিছু আইপি টিভি অনেক সময় গুজব রটানোতে যুক্ত হয়, অসত্য তথ্য পরিবেশন ও ভাঁড়ামোতে লিপ্ত হয়। আবার দেখা যায়, অনুমোদন পাওয়ার আগেই কেউ কেউ টেলিভিশন চ্যানেলের মতো অফিস খুলে বসেছে, জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছে। এসব বিষয়কে একটা নিয়মনীতির মধ্যে আনা প্রয়োজন।’
এ সময় জয়যাত্রা নামের আইপি টিভি পরিচালনাকারী হেলেনা জাহাঙ্গীর সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফাঁকফোকর দিয়ে দলের উপকমিটিতে এ ধরনের কারও ঢোকা সমীচীন হয়নি, এদের কমিটিতে রাখার বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল।
যাঁরা সুপারিশ করেছেন, তাঁদের আরও জানাশোনার দরকার ছিল। তাঁর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তাঁর আইপি টিভির বিষয়ে অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখব, সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারা দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি খুলে যার যেমন ইচ্ছা তেমন করবে, সেটা কখনো আইনসম্মত বা বাঞ্ছনীয় নয় উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভালো মানের আইপি টিভি অনুমোদন পাবে এবং যেগুলোর বিষয়ে নানা অভিযোগ আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আইপি টিভিগুলোর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিল। পাঁচ শতাধিক দরখাস্ত জমা পড়েছে এবং সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজও আমরা গুছিয়ে এনেছি। যেগুলোর মান ভালো, সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।’
তথ্যমন্ত্রী এরপর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঙ্গে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।