সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করেছে নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন।এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়।
আজ রবিবার সকালে দূতাবাসের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মান্যবর হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান ও মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ।
পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। একইসঙ্গে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিবহ ছবির সমন্বয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এদিন হাই কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বাঙালির মহানায়ক হয়েছিলেন। তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিলো বাঙালি জাতির মুক্তি ও বাংলার স্বাধীনতার জন্য।
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছিলেন বলেই এ জাতি তার ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা বাঙালি জাতির জন্য ছিলো একটি লজ্জাজনক অধ্যায়, যা বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশই নয়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরে এদিন সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে হাই কমিশনার ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পি.সি যোশি, বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, কর্ণেল (অব.) অশোক বক্তব্য দেন।
এ সময়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ১৫ আগস্ট স্মরণে দূতাবাস আয়োজিত ‘BANGABANDHU THE IMMORTAL LEGEND’ নামক প্রকাশনার মোড়ক উম্মোচন করা হয় এ সময়ে।