শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের পুকুর থেকে সোনা মিয়া ফকির (৭০) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ওই ব্যক্তির লাশ পুকুরে ভাসতে দেখা যায়।উপজেলার পূর্ব আড়াচন্ডি গ্রামের বাসিন্দা সোনা মিয়া ফকির করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা ১২ আগস্ট তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
১৭ আগস্ট তিনি করোনা ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হন। ওই দিনই তাঁর ছেলে রহমান ফকির থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং সন্ধানের জন্য বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করেন।
সোনা মিয়া ফকির করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা ১২ আগস্ট তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ১৭ আগস্ট তিনি করোনা ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হন।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ আগস্ট সোনা মিয়া ফকির নামের এক ব্যক্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।
তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ১৬ আগস্ট রাতে তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান।
এরপর আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন হাসপাতাল লাগোয়া একটি পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। সোনা মিয়ার স্বজনেরা ওই মরদেহ শনাক্ত করেন। কিন্তু কীভাবে ওই ব্যক্তি ওখানে গেলেন ও মারা গেলেন, তা বুঝতে পারছেন না বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
সোনা মিয়া ফকিরের ছেলে রহমান ফকির বলেন, ‘বাবা খুব অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতাল থেকে একা বাইরে যাওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া তিনি সীমানাপ্রাচীর টপকে ওই পুকুরের কাছে গেলেন কীভাবে? আমরা কিছুই ভাবতে পারছি না। আমরা তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চাই।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিই রহস্যজনক। ওই ব্যক্তির নিখোঁজের বিষয়ে তাঁর স্বজনরা জিডি করার পর আমরা বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেছিলাম। শনিবার তাঁর লাশ পাওয়া গেল।
এখন ময়নাতদন্ত করতে হবে কোনো ক্লু পাওয়া যায় কি না।’