সাঈম সরকারঃ
হরিলুটের শিমুলিয়ায় দূর্নীতির কালো মেঘে ছেয়ে গেছে । অবৈধ ভাবে অর্থ আয়ের উৎস আর বিভিন্ন ছলচাতুরির মাধ্যমে ডুবে থাকা অসৎ কিছু মানুষজনদের দৌড়ত্বে বিলিন হয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে বৈধতা ও ন্যায়ের আলো ।এই সব কিছু অসৎ ব্যাক্তিদের মধ্যে একজন হলেন কাজী মনিরুজ্জামান ।
এলাকাবাসি জানায়ঃমোঃ মনিরুজ্জামান, পিতা-মৃত নিজামুদ্দিন এর পৈতিক সম্পত্তি তেমন না থাকলেও বর্তমানে তিনি কোটিপতির বনে পারি জমাইয়াছেন ।
শিমুলিয়া বাজারে নিজ, কাজী অফিসের পিছনেই ওনার রয়েছে একটি বিলাস বহুল বহুতল ভবন ।রয়েছে গাজীপুরের মাদবপুর পানিশাইল এলাকায় ক্রয়কৃত বড় বড় ২টি কলণীও ।
এছারাও গত দুই মাস পুর্বে শিমুলিয়া এসপি হাই স্কুলের পশ্চিম পাশে ১৮ শতক জমি প্রায় ২০(বিশ)লাখ টাকায় ক্রয় করেছেন।ঋষী পাড়ার দক্ষিনে শতাধীক শতক তার ক্রয় কৃত জমি রয়েছে ।
এখন আবার শিমুলিয়া ইউনিয়ণ পরিষদের পাশে মোঃ ইদ্রিস নামে এক ব্যাক্তির সন্তানদের নিকট থেকে চওড়া মুল্যে জমি ক্রয় করতে হণ্যে হয়ে পরেছেন তিনি ।এত টাকার উৎস কোথায় জানার জন্য জনমনে কৌতুহল থাকাটাই সাভাবিক ।
স্থানীয়রা জানায়ঃমনিরুজ্জামান ওরফে জামান কাজীর পরিবারের সবাই বংশগত ভাবে বিএনপি রাজনীতির সংগে জরিত রয়েছে ।তার এক ভাই হিলারী মেম্বর (৩নং ওয়ার্ড)আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সহ সভাপতি ।বড় ভাই বাবুল হোসেন শিমুলিয়া ইউনিয়ণ বিএনপি‘র সহসভাপতি ।
আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কাউন্সিলকে সামনে রেখে মনিরুজ্জামান ওরফে জামান কাজী মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক হয়ে আওয়ামী লীগের পদ পদবী ভাগাইয়া নেওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্ধশতাধিক শিমুলিয়া বাসি জানায়ঃ মনিরুজ্জামান ওরফে জামান কাজী শিমুলিয়া কেন্দ্রিয় মসজিদের সভাপতি ফিরোজ কবিরের অবর্তমান দায়িত্ব গুলো নিজেই সামলায় এবং ক্যাশিয়ার হিসাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ দায়িত্বপালন করে আসছে ।মসজিদের উন্নয়ণ মুলক কাজের জন্য প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার টাকা কালেকশন করে থাকেন ।কিন্তু, মসজিদের কোন উন্নয়ণ মুলক পরিবর্তন দেখা যায় না ।
তাছারা, তিনি এলাকায় সুদের টাকার কারবার খুলে বসেছেন ।তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্য বিবাহ রেজিঃ করে থাকেন ভুয়া জন্মনিবন্ধ এর মাধ্যমে । এ রকম অনেক প্রমান রয়েছে ।
কিছুদিন পূর্বেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বাল্য বিবাহ সহ বিভিন্ন অপরাধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে ।বিশেষ প্রয়োজনে ফজলু নামে এক ব্যাক্তি ওনার নিকট থেকে কিছু টাকা ঋণ হিসাবে নিয়েছিল । সময় মত টাকা দিতে না পারায় ঐ ব্যাক্তির উপর জামান কাজী চাপ প্রয়োগ করতে থাকে ।ফজলু কোন উপায় না পেয়ে গত দুই মাস আগে তার নিকট ১৮ শতক জমি কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয় ।
এবিষয়ে ফজলুল হক বলেন, জরুরী প্রয়োজনে কিছু টাকা ঋণ গ্রহণ করেছিলাম জামান কাজীর নিকট থেকে । ওনার টাকা দিতে দেরি হচ্ছিল বিধায় তিনি বার বার টাকার চাপ দেওয়ায আমি নিজ ইচ্ছায় ১৮ শতক জমি তার নিকট বিক্রি করেছি ।
অপর দিকে মনিরুজ্জামান ওরফে জামান কাজীর নিকট জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, ঋষী বাড়ীর দক্ষিনে ঐ জমিটি সরকারী ০১ খতিয়ানের ।সেটা আমি লিজ নিয়েছি ।
অন্যান্য জমি গুলো ক্রয় করা হয়েছে । আর পদ পদবীর ব্যাপারে টাকা পয়সা লাগে না ।
তাছারা, অন্যান্য বিষয়গুলো সাক্ষাতে বলবেন বলে সাংবাদিকদের চা খেতে দাওয়াত দেন ।