জীবননগর প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং সমস্যার সমাধানের ওপর পর্যালোচনা ভিত্তিক জীবননগর উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, করোনাকালীন এই মহামারি সেইসাথে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষও টিকা গ্রহণকারী মানুষের হাসপাতালের উপরে রয়েছে এক ধরনের চাপ। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হত হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ও সাধারণ মানুষের।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগর টগর এর উপস্থিতিতে জীবননগর উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আর এই অনুষ্ঠানে হাজী মোহাম্মদ আলী আজগরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, জীবননগর পৌর সভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারি মোছাঃ নাজমা খাতুন, জীবননগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ইশা, জীবননগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ গোলাম মর্তুজা, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সহ প্রমুখ।
আর এ সময় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মোছাম্মদ নাজমা খাতুন বলেন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনাকালীন এই সময় থেকে অসংখ্য রোগীর চাপ সহ জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সরঞ্জাম এর ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে তারা সাধারন রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়াও তিনি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের রাস্তার বেহাল অবস্থা ও অপরিকল্পিত সিএনজি এবং অটোরিকশা দাঁড়ানোর কারনে সৃষ্ট যানজটের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং মাননীয় সংসদ সদস্য কে বিষয়টি সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।
আর এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থার কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলী আজগর বলেন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সমন্বয়ে গঠিত। তাছাড়া করোনাকালীন এই মহামারীতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে রোগীদের চাপ যার ফলশ্রুতিতে হাসপাতালে পরিবেশ পরিকাঠামো নিয়ন্ত্রণ
রাখাটা একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তবে আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষেরা যাতে তাদের সঠিক চিকিৎসা পায় সেই সাথে হাসপাতালে আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও চিকিৎসক বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।