বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ঠাঁই পেয়েছে সাভারের সেই ‘রানি’। তবে দুর্ভাগ্য, এই স্বীকৃতি মিলেছে রানি মারা যাওয়ার ৩৯ দিন পর।
এর আগে গত ২ জুলাই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের কাছে আবেদন জানায় গরুটির পালক শিকড় এগ্রো কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ রানির গিনেস বুকে স্থান পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে ই-মেইল পাঠিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খামারের পরিচালক কাজী মো. আবু সুফিয়ান। তিনি জানান, দুর্ভাগ্য, এই বিশ্বস্বীকৃতি হাতে আসার আগেই গত ১৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে মারা যায় রানি।
সাভারের চারিগ্রাম এলাকার শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের খামারে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে রানিকে নিয়ে হইচই পড়ে যায় দেশে-বিদেশে।
বক্সার ভুট্টি জাতের খর্বাকৃতির সেই গরুর ওজন ছিল ২৬ কেজি আর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি, দুটি দাঁতও ছিল। রানির বয়স হয়েছিল দুই বছর। গত কোরবানির সময় গরুটির দাম উঠেছিল ৫ লাখ টাকা।
আবু সুফিয়ান বলেন, ‘গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা রানির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। ওরা মূলত দেখেছে, আমরা হরমোন-জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করেছিলাম কি না।
কিন্তু এ ধরনের কোনো কিছু তারা রিপোর্টে পায়নি। তিন দিন আগে ওরা রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ওদের প্রসেসের কারণে বিলম্বে আমাদের ই-মেইল করেছে।’