জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে শনিবার বাদ এশা গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-(০২) খন্দকার দেলোয়ার জালালী।তিনি বলেন, শনিবার দুপুর ১টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে প্রয়াত মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মরদেহ রাখা হবে।
সেখানে জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হবে।
পরে বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে জিয়াউদ্দিন বাবলুর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। রাতে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থনে তাকে সমাহিত করা হবে।
আজ সকাল ৯টা ১২ মিনিটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হলে ৬ সেপ্টেম্বর তাকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে অবস্থার অবনতি হলে একদিন পর তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়।
তিনি আগে থেকে অ্যাজমা ও হার্টের জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনা শনাক্তের পর তার ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আশির দশকে তৎকালীন বাসদ সমর্থিত ছাত্র সংগঠন থেকে ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হন।
জিএস থাকাকালীনই সাবেক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা পরে উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
দু’বারের সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু দু’দফা জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় পার্টিকে মহাজোটে আনার ব্যাপারে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম স্ত্রী ফরিদা আখতার ২০০৫ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে কয়েক বছর আগে এইচ এম এরশাদের ভাগ্নি টুম্পাকে বিয়ে করেন বাবলু।
উল্লেখ্য, গত বছর জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর ছোট ভাইও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।