পাঁচ দিনমজুরের একাউন্টে ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সরকারি টাকা আত্মসাত করতেই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের একাউন্টে টাকাগুলো পাঠায়। পরে ওই কর্মকর্তারাই টাকা তুলতে গেলে সন্দেহ হয় ব্যাংক ম্যানেজারের। ধরা পড়ে প্রতারণার বিষয়টি। অথচ এ ঘটনায় নিরাপরাধ তিন দিনমজুর তিনমাস ধরে জেল খাটছেন। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন একজন। আজ বুধবার (৬ অক্টোবর) উচ্চ আদালত তাদের জামিন দিয়েছেন।
করোনায় গরীব-অসহায়দের ১ লাখ টাকা করে দিচ্ছে সরকার। এজন্য দরকার ব্যাংক হিসাব। কুড়িগ্রামের ৫ দিনমজুরকে এমন প্রলোভনে ফেলে গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলা হিসবারক্ষণ অফিসের কর্মচারি স্বপন। ৫ জনের নামে খোলে একাউন্ট। তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় ১ হাজার করে টাকা।
বিধবা ফুলমনী, কমল, প্রভাস, রনজিৎ ও সুবলের একাউন্টে টাকাও যায়। কিন্তু সে টাকার পরিমাণ ১ লাখ-২ লাখ নয় ৪০ থেকে ৫০ লাখ করে। যে টাকার কথা জানতো না তারা।এরপর টাকা তুলতে যায় ওই কর্মকর্তারা। খোঁজ নিয়ে ব্যাংক জানতে পারে দিনমজুরের একাউন্টে টাকাগুলো রয়েছে। তাতেই সন্দেহ হয় ব্যাংক ম্যানেজারের। স্থগিত করা হয় লেনদেন।
এ ঘটনায় মামলা করা হয়। যে মামলায় নিরাপরাধ ৫ মজুরসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়। ৪ জুলাই কুড়িগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩ মাস ধরে তারা কারাগারে রয়েছেন।
বুধবার উচ্চ আদালতে হয় তাদের জামিন শুনানি। একবছরের জন্য জামিন দিয়ে আদালত জানতে চান-লুটপাটকারীদের পরিবর্তে সাধারণ কৃষকদের কেন ফাঁসানো হলো?