পুরান ঢাকার ওয়ারীর টিপু সুলতান রোডের শঙ্খনিধি হাউসে গতকাল সকালে শারদীয় পূজা উদ্যাপন নিয়ে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষই লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারি করতে উদ্যত হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কামরুল ইসলাম জানান, পুরনো ওই বাড়িটি প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে চিহ্নিত।
সেটিকে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে বলা হয়েছে। ১৯৮১ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে লিজ নিয়ে ১৬ শতাংশ জায়গার ওপর বসবাস করছে অন্তত ৩০টি পরিবার।
পাশেই থাকা ৮ শতাংশ জমিতে বছরের পর বছর বসবাস করছেন জমিদারদের আত্মীয়রা। ওই জমিতেই পূজার জন্য মন্দির স্থাপন নিয়ে ৩০টি পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব।মূলত সেখানে স্বাধীনতার আগে কিংবা পরে কখনই পূজা উদ্যাপন হয়নি।
জানা গেছে, বিশ শতকের শুরুর দিকে লালমোহন সাহা বণিক, ভজহরি সাহা বণিক ও গৌর নিতাই সাহা বণিক ব্যবসায় বেশ উন্নতি লাভ করেন।
বিত্তশালী হওয়ার পর তাঁরা বণিক উপাধি বর্জন করে ‘শঙ্খনিধি’ উপাধি গ্রহণ করেন। টিপু সুলতান রোডে লালমোহন সাহা ১৯২১ সালে শঙ্খনিধি হাউস নির্মাণ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভবনের হিন্দু অধিবাসীরা ভারত চলে যান। ১৯৮০ সালে শঙ্খনিধি হাউস প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
২০১৭ সালের ২ আগস্ট হেরিটেজ বা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে পরিচিত রাজধানীর ৯৩টি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও স্থান সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে শঙ্খনিধি হাউসও রয়েছে।