কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার একটি ব্রিজ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ১৪ বছর যাবত পারাপারা হচ্ছে ২৭টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে আরআইআইপি-২ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল।বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১নং দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে আহাদ আলীর বাড়ি সংলগ্ন কাউনিয়ারচর খালের উপরে অবস্থিত পাকা ব্রিজটির দুই পাশে মাটির রাস্তা না থাকায় ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। দীর্ঘ ১৪ বছরেও ব্রিজের দুই পাশে মাটির রাস্তা ও ব্রিজটি মেরামত করা হয়নি।
ইটালুকান্দা গ্রামের হারেজ আলী, রহমাত মিয়া, বারেক আলী বলেন, ব্রিজের দুই পাশে মাটি ভরাট করে দিলে আমরা চলাচল করতে পারি। অনেক কষ্ট করে মালামাল পরিবহন করতে হয় নৌকা দিয়ে। ভাঙ্গা বাঁশের বাঁকো দিয়ে যাতয়াত করা যায় না।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, ব্রিজটি দীর্ঘদিন থেকে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। জরুরি অসুস্থ রোগী চিকিৎসার জন্য রৌমারী হাসপাতালে যেতে হলে ঐ ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। ভ্যান রিকশা চলাচল করে না।
উপজেলা প্রকৌশলী (অ: দা:) মো. জোবায়েদ হোসেন বলেন, ব্রিজটি দীর্ঘদিন থেকে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করে প্রস্তবনা প্রেরণ করা হবে।