মো.মাইনুল ইসলাম:
সাভার বলিয়ারপুরে মর্জিনা(৩০) নামক এক পোশাক কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ১১ মাস মুসা(২০) নামক জনৈক ব্যক্তি ধর্ষণ করে আসছে ,এক পর্যায়ে ওই নারী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। জনৈক মুসা, মুসার মা মরিয়ম, ফুফু জোসনা বেগম এবং মুসাদের প্রতিবেশী মাহবুব আবারও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মর্জিনার গর্ভের বাচ্চা জোরপূর্বক এবরসন করে ফেলে দেয়। এখন মর্জিনাকে বিয়ে করতে মুসা অস্বীকৃতি জানায়।
এ ঘটনার আগে এই নারীকে মুসা সহ মুসার পরিবারের লোকজন প্রতিনিয়ত ভয় ভীতি মারধর করেন এবং এ ব্যাপারে মর্জিনা বেগম নিরুপায় হয়ে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু থানা পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোখলেসুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি আমাদেরকে জানান, মামলা কেন নিব না অবশ্যই মামলা নিব,ওই নারী এখন অসুস্থ তিনি সুস্থ হয়ে থানায় আসুক আমরা অবশ্যই মামলা নিব।
ঘটনার ব্যাপারে মর্জিনা বেগম আমাদের বলেন, আমি বলিয়ারপুর আওলাদ হোসেনের ভাড়াবাড়িতে থাকতাম।মুসা এবং তার মা, ফুফু ও মাহবুব একই মহল্লায় হবি গোয়ালের বাড়িতে থাকতেন। সকলেই আমাদের রংপুরের বাসিন্দা হওয়ায় আর একই মহল্লায় দীর্ঘদিন থাকার সুবাদে একটি সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।আমার কেউ নাই বিধায় মুসার মা ও ফুফু আমার পিছনে মুসাকে লেলিয়ে দেয়। কারণ আমি অনেক টাকা বেতন পাই আমি একাই থাকতাম আর তাদের বিভিন্ন প্রলোভনে আমি তখন মুসার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যাই। আমি যা বেতন পাইতাম সমস্ত বেতনের টাকা ওদের ফ্যামিলিতে খরচ করতাম। আমার জমানো দেড় লক্ষ টাকা স্বর্ণ অলংকার সবকিছুই ওদের বিলিয়ে দিয়েছি। কারন আমাকে মুসার সাথে বিয়ে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন মুসার ফ্যামিলি ও প্রতিবেশী মাহবুব সহ সকলেই।
আমি এ সকল অপকর্মের বিচার চাই, মুসা আমাকে বিয়ে করবে না। না করলে আমার গর্ভের ৫ মাসের বাচ্চা জোরপূর্বক ভাবে এবরসন করালো কেন মুসা, মুসার মা মরিয়ম,মুসার ফুফু জোসনা এবং প্রতিবেশী মাহবুব। মর্জিনা বেগম কান্না স্বরে বলেন, আমার গর্ভের বাচ্চাকে মেরে ফেলার অধিকার এদেরকে কে দিয়েছেন? আমি সরকারের নিকট এদের উপযুক্ত বিচার চাই।
বলিয়াপুরের মুসা এবং মর্জিনার ভাড়া বাসায় সরে জমিনে গিয়ে দেখা মিলে মাহাবুব এবং মুসার ফুফু জোসনা বেগমের সাথে।আর মুসার মা এবং মুসাকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে আমরা জানতে পারি ঘটনার পরের দিন মুসা এবং মুসার মা তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুরে চলে গেছে। প্রতিবেশী মাহাবুব ও মুসার ফুফু মুসারই সাফাই গাইতে লাগলেন। তারা বলেন, ছেলে ছোট আর মর্জিনা বয়সে অনেক বড়। এ ঘটনার ব্যাপারে এলাকাবাসী বলছে, ছেলে মেয়ে উভয়ের দোষ আছে এজন্যই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।
আমরা সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান করে জানতে পারি সমস্ত নাটের গুরুই হচ্ছে প্রতিবেশী মাহবুব এতে করে ভুক্তভোগী মর্জিনার বক্তব্যই সত্য। এবরসন করার পর থেকে বর্তমানে মর্জিনা বেগম গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সুস্থ হলে মামলা করবেন বলে জানান মর্জিনা বেগম। মর্জিনার গ্রামের বাড়ি রংপুরের কুড়িগ্রামে।