আশুলিয়া জিরাবো এলাকায় অবস্থিত এ বি সি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিমিটেড(ব্যাগ) আবেদীন গ্রুপ নামক একটি কারখানায় হঠাৎ করে কারখানার ভিতরে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে কর্মচারীদের জোরপূর্বক জিম্মি করে বিনা নোটিশে তাদের পাওনা দাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে,চাকরি থেকে অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে মৌখিক ভাবে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
উক্ত কারখানার একাধিক সূত্রে জানা যায়,একাধিক কর্মচারীর চাকুরীর বিভিন্ন মেয়াদে ১,২,৩ যথাক্রমে এমনকি ১৩ ১৪ বছরের পুরনো কর্মচারীদের হঠাৎ করে অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন,অমানবিক নির্যাতন করে এবং তাদেরকে জিম্মি করে অব্যাহতি পত্র এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিনা নোটিশে,মৌখিক ভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এমনটিই বলছিলেন,এ বি সি লেদার কারখানার ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন কর্মচারী এবং তাদের দীর্ঘদিনের পাওনা দাওনা আজও বুঝে পাবেন কিনা তারা তা জানেনা।
এবিসি লেদার লিমিটেড(আবেদীন গ্রুপ) এর কারখানায় লেদার কাটিং সুপারভাইজার হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা আব্দুল হালিম আহমেদ অফিসিয়াল আইডি কার্ড নং ১০০২৬৯৮ তিনি এই প্রতিবেদককে জানান,আমি বিগত,০২.০৩.২০২৪ ইং তারিখ রোজ শনিবার প্রতিদিনের ন্যায় উক্ত কারখানায় কাজ করতে ছিলাম হঠাৎ করে আনুমানিক বারোটার সময় অফিস কক্ষ থেকে আমার ডাক আসে,তাৎক্ষণিকভাবে আমি অফিসে গেলে এডমিন আমাকে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বলেন। তার কাছে আমার স্বেচ্ছায় অব্যাহতি প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি আমাকে কোন প্রকার সদ উত্তর দিতে পারেন নাই এবং আমাকে জোরপূর্বক অব্যাহতি প্রদানের জন্য চাপ সৃষ্টি করা সহ বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমাকে একটা খালি কক্ষে নিয়ে জিম্মি করে আটকে রাখেন,এবং আমাকে দিয়ে অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ সৃষ্টি ও ভয় ভীতি দেখায় এবং আমাকে আটকে রাখে।তারপরে আমি কৌশলে ঐদিন ৪-৫ ঘন্টা আটক থাকার পরে তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আগামীকাল অব্যাহতি দেবো বলে ওখান থেকে কোন প্রকার মুক্তি পাই এবং আমার জিরাবো বাসায় চলে আসি। ওই তারিখ থেকে আর আমি উক্ত কারখানায় যায়না।কয়েকদিন পরে এডমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমি আমার পাওনাদি পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করি। তখন তিনি আমাকে জানিয়ে দেন, তোমার তো চাকরি নাই। আর অব্যাহতি না দিলে কোন টাকা পয়সা তোমাকে দেওয়া হবে না। আমি চাকরিতে যোগদানের সময় আমার এসএসসি’র মূল সার্টিফিকেট কপি দেখতে চাওয়ায় অফিসে এডমিন বরাবর জমা দিতে হয়েছে, জমা দেওয়ার ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে আমি আমার মূল সার্টিফিকেট ফেরত চাই কিন্তু তারা আমাকে ফেরত দেয় নাই। উপরোক্ত ঘটনার কারণে আর আমি কারখানায় যাই না এবং মূল সার্টিফিকেট ফেরত পাওয়ার জন্য গত ২৪.০২.২০২৪ তারিখে কারখানা কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদন পত্র দাখিল করি।
আব্দুল হালিম আরো বলেন,আমি চাকুরীরত অবস্থায় আমার পারিবারিক সমস্যার কারণে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার জন্য আবেদন করেছিলাম কিন্তুু কর্তৃপক্ষ আমাকে ৬ মাস ঘুরিয়ে শেষে না বলে দেন। তারা আরো বলেন, চাকুরীতে থাকা অবস্থায় ফান্ডের টাকা দেওয়া যাবে না চাকুরী বাদ দিলে তখন দেওয়া হবে। তখন তারা এও বলেছিল, তুমি বেশি সমস্যা হইলে ফান্ডের টাকা থেকে ৭০% লোন নিতে পারো, তাতেও আমি রাজি ছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় তৎকালীন সময়ে সেটাও আমাকে দেয় নাই। এমনকি তৎকালীন সময়ে কারখানা থেকে আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি,কারখানার এমডি’র অনেক বড় বড় লোক আছে এবং অনেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনির আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে ভয় ভীতি ও অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে এবং স্থানীয় ক্যাডার দ্বারা ভয় ভীতি প্রদর্শন সহ গুম খুনের হুমকি পর্যন্ত দেন। একপর্যায়ে আমাকে দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি পত্রে জোরপূর্বক কারখানায় আটকে রেখে স্বাক্ষর নিতে চাইলে আমি কৌশলে তাদের কাছে ভাবার জন্য এক দিনের সময় নিয়ে কোনরকম প্রাণ নিয়ে বের হয়ে আসি। আমি আমার প্রাণনাশের আশঙ্কা করে আজ পর্যন্ত উক্ত কারখানায় যায়নি। এ ব্যাপারে তৎকালীন সময় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির মাধ্যমে বরাবর উপ-পরিদর্শক,কল- কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তর,ঢাকার নিকট আমার সমস্ত ন্যায্য পাওনাদি এবং এবিসি ফুট ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিয়াল লি: ব্যাগ কারখানায় আমার জমাকৃত এসএসসির মূল সার্টিফিকেট সহ এযাবৎ সমস্ত পাওনাদি বুঝিয়া পাওয়ার জন্য আবেদন করি। তাতেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায়, অবশেষে নিরুপায় হয়ে প্রথম শ্রম আদালত ঢাকার নিকট দারস্ত হয়ে উক্ত কারখানার বিরুদ্ধে আমার বিগত ১৩ বছরের ন্যায্য অধিকার সমস্ত পাওনা
বুঝিয়া পাওয়ার জন্য একটি মামলা দায়ের করে।
আব্দুল হালিম আরো বলেন, নির্ধারিত সময়ে পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় ২৫% হারে ক্ষতিপূরণ সহ আইনগত ভাবে উক্ত কারখানার কর্তৃপক্ষ নিকট আমার ন্যায্য পাওনা বাবদ মোট-৬,৭৮,৯৯৫ টাকা। যাহা সমস্ত কাগজপত্র প্রমাণাদি ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে। আমি নিরুপায় হয়ে কোন কাজকর্ম না পেয়ে পরিবার নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি।আমি আব্দুল হালিম এবিষয়ে বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমাদের অনুসন্ধানের তথ্যমতে, হালিমের মতো একই কায়দায় উক্ত কারখানার একাধিক কর্মচারী অমানবিক নির্যাতনে শিকার হচ্ছে,কথা হয়,ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার আবুল কাশেম, প্রডাকশন অফিসার, তার অফিসিয়াল আইডি নং ১০০২৬৯৬। তিনি জানান, আমার উপরেও অমানুষিক নির্যাতন চালায় কারখানার কর্তৃপক্ষ এবং আমি বিভিন্ন প্রকার মানসিক নির্যাতনের কারণে কারখানার ভিতরে স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং আমার পারিবারিক ও অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে হয়। এসমস্ত সমস্যার কারণে আমার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা উত্তোলনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট গত ২১.৮.২০২২ ইং তারিখে আবেদন করি। আবুল কাশেম আরো বলেন, আমার ফান্ডের টাকা দিবে বলে আমাকে দুই বছর ঘুরিয়ে অবশেষে বলে, চাকরিতে অব্যাহতি না দিলে তুমি কোন টাকা পাবে না। তাদের কথামতো আমি অব্যাহতি পত্র ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা উত্তোলনের জন্য আবারো নতুন করে আবেদন করি।আর এই দুটো আবেদনপত্রই গত ০৬.০৪.২০২৪ ইং তারিখে কর্তৃপক্ষ নিকট জমা দেই। তারপর থেকে আমার ওপর অমানসিক নির্যাতন চালায়, আমাকে প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি এবং স্থানীয় ক্যাডার বাহিনীর দ্বারা আমাকে নির্যাতন করায় অবশেষে নিরুপায় হয়ে,গত ২৩ শে এপ্রিল কারখানার থেকে বাসায় চলে আসি। তার পর থেকে আর আমি প্রাণ নাশের ভয়ে কারখানায় যায়নি। আমি গত এপ্রিল মাসে ২৩ দিন ডিউটি করেছি,আমাকে ওই ২৩ দিনের বেতনো দেয়নি। এখন আমি পরিবার ও অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি উপায়ান্তর না পেয়ে, প্রথম শ্রম আদালত ঢাকার দারত্ব হয়ে আমার সমস্ত ন্যায্য পাওনাদি পরিশোধ করার জন্য এ বি সি লেদার (আবেদীন গ্রুপের) প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি।
কাশেম আমাদেরকে আরো জানান, কারখানায় সকলকে একই কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে বের করে দেওয়ার প্রবণতা এখনো অব্যাহত আছে। আমার পাওনাদি নির্ধারিত সময় পরিশোধ না করার কারণে আইন অনুযায়ী ২৫% ক্ষতিপূরণসহ এবিসি লেদার (আবেদীন গ্রুপের) প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ’র নিকট আমার পাওনাদি বাবদ সর্বমোট ৮,০৬,৩৯৭/টাকা। উক্ত কারখানার কর্তৃপক্ষের নিকট আমার সমস্ত ন্যায্য পাওনাদি পরিশোধের জন্য আমি আবারো জোর দাবি করছি।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, উক্ত কারখানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী কয়েকজন কর্মচারীরা তাদের বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার জন্য কারখানার গেটের সামনে জটলা বেঁধে আছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন কর্মচারীর সাথে আমাদের আলাপ হয়,তাদের মধ্যে আরঙ্গজেব নামে এক কর্মচারী বলেন, আমি এই কারখানায় কিছুদিন আগেও ওয়েল্ডার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলাম,আমার অফিসিয়াল আইডি নং ৩০০০১১৪। আমার বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা থানায়, আমাকে ২৮ শে এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে বিনা নোটিশে অমানুষিক নির্যাতন করে ও বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি, কারখানা মালিকের স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী দ্বারা মারধর করে জোরপূর্বক বের করে দেন। তারপর থেকে আমার ন্যায্য পাওনাদি নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত এখানে আসতে হয়। আমি গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের নোটিসের মাধ্যমে আমি আমার ন্যায্য পাওনাদি পাওয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করায়,তাতেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অবশেষে, প্রথম শ্রম আদালত ঢাকার দারস্ত হয়ে,আমার সমস্ত পাওনাদি পাওয়ার জন্য একটি মামলা দায়ের করি। এবিসি লেদার (আবেদীন গ্রুপের) প্রতিষ্ঠানের কাছে আইনগতভাবে ২৫% ক্ষতিপূরণ সহ আমার পাওনা সর্বমোট – ২,৪১,৩৯২/- টাকা। আমি কারখানা কর্তৃপক্ষর কাছে আকুল আবেদন করছি যে,আমার যাবতীয় পাওনাদি দ্রুত সময়ের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
যশোর জেলার মো ইলিয়াস হুসাইনের সাথে কথা হয় তিনিও অন্যান্য ভুক্তভোগীদের সাথে তাল মিলিয়ে একই সুরে বলেন,আমার অফিসিয়াল আইডি নং ১০০২৭৩৬ আমি সহকারী সুপারভাইজার ছিলাম,আমিও আমার পারিবারিক সমস্যার কারণে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা উত্তোলনের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম।কিন্তু কারখানার কর্তৃপক্ষ ফান্ডের টাকা উত্তোলনের জন্য আমি কেন দরখাস্ত দিলাম, এতেই আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাকে বিনা নোটিশে চাকরি থেকে জোরপূর্বক ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়।
উপস্থিত ভুক্তভোগীদের সকলেই বলেন, উক্ত কারখানার কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি নির্যাতন জিম্মি করে স্থানীয় ক্যাডারদের দ্বারা নির্যাতন করে একই কায়দায় ক্ষমতা দেখিয়ে জোরপূর্বক চাকরি থেকে বের করে দেন। আমরা এ সকল বিষয়ে,শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঢাকার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। এবং এখন আমাদের চাকরি না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ সকল বিষয়ে জানতে উক্ত কারখানার ডিএমডি’ মারুফ সাহেবের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। ও তার হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার মেসেজ দিলেও তার কোন সাড়া মিলেনি। এদিকে এবিসি লেদার ফুটওয়্যার আবেদীন গ্রুপের মার্কেটিং অফিসার শাকিব জাকারিয়া whatsapp-এ একাধিক মেসেজ দিয়েও তাকেও পাওয়া যায়নি।
শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন,শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে শ্রম অভিযোগ পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হবে।।সেইসাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনাদি ও বকেয়া বেতন পরিশোধের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সুতরাং ভুক্তভোগী কর্মচারীরা বলেন, আমাদের সমস্ত ন্যায্য পাওনাদি দ্রুত পরিশোধের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এবং বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।