মাইনুল ইসলাম:
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খেয়া ঘাট নামক স্থানে অলিউল্লাহর গ্যারেজ হতে দুর্ধর্ষ একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গভীর রাতে তালা ভেঙ্গে সাতটি অটো রিক্সা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ক্যারেট মালিক।
ভুক্তভোগী গ্যারেজ মালিক হাজী অলিউল্লাহ আমাদেরকে জানান,আমি গত (১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে অসুস্থ ছিলাম, এন্টির ভাইটি ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে যাই হঠাৎ আনুমানিক ভোর ৪:৫০ মিনিট নাগাদ গ্যারেজ থেকে একটা শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমি তখন আমার ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পাই আমার গ্যারেজের ৭ টি অটোর মধ্যে একটিও নাই, আমি তখন চিৎকার চেঁচামাসি করলে আমার বাড়ির লোক এবং আশেপাশের প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।
তাৎক্ষণিক আমরা রাস্তায় বেরিয়ে এলে ততক্ষণে ডাকাত দল একটি পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে অটোরিকশা গুলো নিয়ে দ্রুত চটকে পড়েন। বাড়ির সি সি টিভি ফুটেজ এর মাধ্যমে দেখা যায়, এই ঘটনায় সাথে ১৮ থেকে ২০ জন সঙ্গবদ্ধ একটি ডাকাত দল ছিলেন।
হাজী অলিউল্লাহ আরো বলেন, আমি শুধু বাড়ির ও গ্যারেজের মালিক আমার গ্যারেজে বিভিন্ন লোক অটো রাখতেন এবং তারা সকলেই নিত্যান্ত গরিব মানুষ তারা অটো চালিয়েই রুটি রুজির ব্যবস্থা করে পরিবার নিয়ে চলতেন। এখন তারা অসহায় অবস্থায় নিরুপায় হয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,হ্যাঁ আজ(১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার)সকালে আমি নিজে সাভার মডেল থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়ে এসেছি। অভিযোগ করতে এত দেরি হলো কেন? এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, যাদের অটো গাড়িগুলো নিয়ে গেছে তাদের সঙ্গে করে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি,এবং তাদের সাথে পরামর্শক্রমে অভিযোগ করতে বিলম্ব হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক যাদের অটোগুলা ডাকাত দল নিয়ে গেছেন, তারা নিতান্তই গরিব মানুষ।এভাবে এলাকায় মাঝেমধ্যে এরকম ধরনের ঘটনার ঘটেন। তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানান তিনি।
অপরদিকে (১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার) ভোররাতে আনুমানিক ৪ঃ৪৫ মিনিট বিরুলিয়া ছোট ব্রিজ পুলিশ চেকপোষ্টের সংলগ্ন মসজিদ মার্কেট কাকাব বাসিন্দা অটো চালক মোহাম্মদ আলীকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে রেখে তার অটোটি নিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যান।
তারপর রাস্তায় মানুষ চলাচল শুরু হলে,আস্তে আস্তে মানুষ জড়ো হতে থাকে ন। তখন মানুষজন অটো চালক মোহাম্মদ আলীকে অচেতন ও গুরুত্ব আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে অবস্থার গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। মোহাম্মদ আলী বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালের আইসিওতে আছেন বলে জানা যায়। আহত মোহাম্মদ আলীর বাড়ি বিরুলিয়ার খেয়া ঘাটে বলে জানান স্থানীয়রা।
পৃথক দুটি ডাকাতির ঘটনার ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ও বিরুলিয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ওয়াজেদ আলীর সাথে তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, প্রথম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন,আমি ঘটনাটি শুনেছি ও অভিযোগ হয়েছে সেটাও শুনেছি, আমি ঘটনা স্থলে যেতে পারিনি কারণ দুদিন যাবত হারিছ চৌধুরীর বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে তার মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে বিধায় এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাকে ঢাকা ফরেন্সিতে যেতে হচ্ছে। তাই ব্যস্ততার কারণে থানায় যেতে পারিনি,আমি থানায় গিয়ে অভিযোগটি দেখে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।