ব্রহ্মপুত্র ভাঙ্গনে গত কয়েক বছর ধরে বিলীন হচ্ছে ভিটা মাটি কোদালকাটি ইউনিয়নের নদী পারের কয়েকটি গ্রামে ভাঙনে দিশেহারা হাজার হাজার পরিবার। দফায় দফায় বাড়ি ছেড়েও রক্ষা মিলছে না। আসন্ন বর্ষা মৌসুম নিয়ে শঙ্কায় নদীপারের মানুষের চোখে ঘুম নেই
স্থানীয়রা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদীপারের অসংখ্য পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়তে হয়েছে কয়েক দফায়। রাক্ষুসে নদী সবকিছু কেড়ে নেয়ায় হাজার হাজার পরিবার আজও এলাকা ছাড়া। যারা রয়েছে, তারাও ভাঙ্গেন সব হারিয়ে দরিদ্রতায় দিন কাটাচ্ছেন।
কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের
পাইকান্টারি পাড়া ,বল্লব পাড়া সহ কয়েকটি গ্ৰাম নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়,চর রাজিবপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র সোনাভরি নদী দুটির মিলনস্থল। আর এর আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষকেই প্রতিবছর ভাঙনের সঙ্গে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কবলে পড়তে হয়। কিন্তু এত বছরেও ভাঙন রোধে এলাকাগুলোতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় ভাঙ্গনকৃলে মানুষের চোখে-মুখে আক্ষেপ আর বেদনার ছাপ তীব্রভাবে ফুটে উঠেছে।
পাইকান্টারি পাড়ার কৃষক আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘এ নিয়ে চারবার ভিটা পরিবর্তন করেছি। বারবার বাড়ি ছাড়ি আর নদীও যেন ভেঙে ভেঙে পিছু পিছু আসে।’
বল্লব পাড়ার হতদরিদ্র আবুল হোসেন বলেন এই বার দিয়ে সর্বমোট সাতবার বাড়ি নদিয়ে ভাঙ্গছে এখন আর থাকার জায়গা নেই। পরিবার নিয়ে রাস্তার পাশে পলিথিনের ছাউনী দিয়ে কোনো ভাবে আছি।
চর সাজাই দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আমিনুর রহমান (মাষ্টার) বলেন, ‘আমার বাপ-দাদার সময় থেকেই ব্রহ্মপুত্র নামক রাক্ষুসী নদী গ্রাস করছে। এখনও ভেঙেই চলছে। গ্রামের অনেক মানুষ নদীভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে।’
তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী ভাঙ্গন রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।