ঢাকার কমলাপুর স্টেশন এলাকায় পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতির ঘটনায় দীর্ঘ সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। উদ্ধার কাজ শেষে ট্রেন চলাচল আবারও শুরু হয়েছে। তবে প্রতিটি ট্রেন দীর্ঘ বিলম্ব নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের কোচগুলো উদ্ধার করে রাখার কারণে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্লাটফর্মের লাইন বন্ধ আছে। সেগুলো ক্লিয়ার করার চেষ্টা চলছে। ট্রেন ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো ছাড়া যাচ্ছে না। রাত থেকে এখন পর্যন্ত চার জোড়া ট্রেন আসা যাওয়া করেছে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ আছে। রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের মোবাইলে রাত থেকেই এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে সম্ভাব্য দেরির বিষয়টি অবগত করেছে।
ঢাকা বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আরিফ মহিউদ্দিন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে কমলাপুর থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’র ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ওই সময় ট্রেনটি খুব ধীর গতিতে থাকায় যাত্রী হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ট্রেনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টার পরিবর্তে সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়া হয়। প্রথমে ছেড়ে গেছে এগারসিন্দুর প্রভাতী এক্সপ্রেস, এরপর সোনার বাংলা ছেড়েছে।
এদিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। দায়িত্বশীল সূত্রে আরও জানা গেছে, ইতোমধ্যে উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া আপ-ডাউন লাইন দুটিই ঠিক হয়েছে। কিন্তু পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের কোচগুলো উদ্ধার করে রাখার কারণে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্লাটফর্মের লাইন বন্ধ আছে। অতিদ্রুত লাইনগুলো ক্লিয়ার করার চেষ্টা চলছে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো ছাড়া যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত ৩টি ট্রেন ঢাকা ছেড়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে পঞ্চগড়গামী আন্তনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭৯৩) লাইনচ্যুত হয় কমলাপুর স্টেশন এলাকাতেই। রেললাইন ভেঙে যাওয়ার কারণে ট্রেনের ৬টি বগি লাইন থেকে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি সাধারণ সময়ের প্রায় আধাঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ে। প্লাটফর্ম পার হওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে ঝাঁকুনি অনুভব হয় এবং ট্রেনটি থামানো হয়। পরে নেমে দেখা যায় ট্রেনের বিভিন্ন কোচের মোট ৬টির মতো বগি লাইনচ্যুত হয়।