আশুলিয়া থানাধীন উত্তর ভাদাইল গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন করেছে ঢাকা জেলা পিবিআই। মঙ্গলবার এ বিষয়ে উত্তরা পিবিআই কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কুদরত ই খুদা।
তিনি জানান, পারিবারিক সম্পদের লোভে প্রথম পক্ষের ছেলে হিমেলকে হত্যার করতে তরিকুলকে ভাড়াটিয়া হিসেবে বাসায় তোলে বাবা মিজানুর রহমান বাচ্চু ও তার চতুর্থ স্ত্রী স্বপ্না বেগম।
এই সৎ মা ও বাবা ছেলেকে খুনের জন্য ভাড়াটে খুনী তরিকুলকে ১০ হাজার টাকা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে সৎ মায়ের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকার বিনিময়ে তরিকুলের সাথে পাল্টা বাবা ও সৎ মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছেলে হিমেল। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ১২ সেপ্টেম্বর সাভার আশুলিয়া ভাদাইলের বাড়িতে বাবা মিজানুর রহমান বাচ্চুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তারা।
এরপর সৎ মা স্বপ্না বেগম ও চার বছরের বোন জান্নাতুলকে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে আত্মহত্যা বলে চালায় তারা। এ ঘটনায়, নিহত সৎ মা স্বপ্নার ছোট বোন লাবন্য সাভার থানায় মামলা করলে ১০ দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই।
ঢাকার আশুলিয়া, দোহার এলাকা থেকে তরিকুল ও হিমেলকে গ্রেপ্তার করে তারা। হিমেল মিজানুর রহমান বাচ্চুর প্রথম স্ত্রীর একমাত্র সন্তান। অধিক সন্তানের আশায় চারটি বিয়ে করেন বাচ্চু।
এই ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তারেক ও হিমেলকে যথাক্রমে ৪ ও ২৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কুদরত ই খুদা।