মাহবুব আলম মানিক
সাভারের আশুলিয়ায় বাউন্ডারি ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মামাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়া থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে মোঃ আঃ আউয়াল (৫৮) ও মোঃ জলিল, একই এলাকার মৃত আঃ লতিফের ছেলে মোঃ রুবেল (৩০) ও মৃত আঃ ছাত্তারের ছেলে মোঃ সবুজসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জন। ভুক্তভোগী মোঃ আবুল কালাম ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের মৃত জানু দেওয়ানের ছেলে।
অভিযোগে বলা হয়, আশুলিয়া থানার দিয়াখালী মৌজার সিএস ও এসএ দাগ ৫২৬, আরএস ৩০৫৫ ও ৩০৫৭ দাগের বিআরএস ১৮৪১৬ মোট ১৮১ শতাংশ জমি মাতুল সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন আবুল কালাম। সেই জমিটি বিক্রি করতে গেলে অভিযুক্তরা নানাভাবে বাঁধা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে প্রায় ২ বছর আগে আবুল কালাম ও তার ওয়ারিশরা মোঃ নুরুল আমিন নামের এক ব্যাক্তিকে রেজিষ্ট্রি বায়না করে দেন। বায়না সূত্রে মালিক হয়ে নুরুল আমিন ওই জায়গার উপর একটি সাইন বোর্ড এবং টিনের বাউন্ডারী নির্মান করেন। অভিযুক্তরা বেশ কিছুদিন ধরে বাউন্ডারীটি এবং সাইনবোর্ডটি ভাঙার চেষ্টা করে আসছিল। অবশেষে ৩১ অক্টোবর রাতে বিবাদীরা ওই জমির টিনের বাউন্ডারী এবং জমির সাইনবোডটি ভেঙ্গে ফেলে জিমিটি জবরদখল করার পায়তারা করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আবুল কালাম।
অভিযোগ সুত্রে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তের লোকজন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন , দিয়াখালি মৌজার উক্ত জমিটি দীর্ঘদিন আশুলিয়া থানা যুবলীগ নেতা কবির হোসেন সরকার ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নুরুল আমিন সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে জবর দখল করে রেখেছিলেন ৫ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর আমরা আমাদের জমিতে তাদের জবর দখলকৃত টিনের বেড়া ভেঙ্গে মহামান্য আদালতের রায় অনুযায়ী সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ব্যানার স্থাপন করেছি ।
অভিযোগের বিষয়ে আশুলিয়াথানায় যোগাযোগ করা হলে থানা কতৃপক্ষ বলেন, লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।