রাজিবপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হামিদুর রহমান গ্রেফতার – পরিবারের অভিযোগ ‘রাজনৈতিক হয়রানি’
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোঃ হামিদুর রহমানকে রোববার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজিবপুর বাজারের নিজ বাসা থেকে আটক করেছে রাজিবপুর থানা পুলিশ। জানা গেছে, ২০১৫ সালে চাঁদাবাজি ও পুকুরের মাছ চুরির ঘটনায় ওসিউজ্জামান বাদী হয়ে ১১ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরও ৩০-৪০ জনকে।
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে রাজীবপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদাবাজি মাছ চুরির মামলায় তাকে আটক করে আজ সোমবার কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে হামিদুর রহমানের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এই গ্রেপ্তার শুধুই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফল। হামিদুর রহমানের মেয়ে অদিতা অর্পা বলেন, “আমার পিতার মতো সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ এ অঞ্চলে বিরল। আব্বু কখনো কারো ক্ষতি করেননি, বরং সব সময় সকলের উপকারে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে নিয়োজিত রেখেছেন। তার ন্যায়নিষ্ঠার জন্য শত্রু-মিত্র সবাই তার সততার সাক্ষ্য দেবে। তার নামে কোনো অন্যায় নেই, ক্ষমতার অপব্যবহার তিনি কখনোই করেননি।”
অর্পা আরও বলেন, “আমার আব্বুর এই গ্রেপ্তার কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, এটি তার রাজনৈতিক পরিচয়কে কেন্দ্র করেই ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি। সত্যকে আড়াল করা যায় না, প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে একটা কথা আছে।”
এই গ্রেপ্তারের পর রাজিবপুরের জনসাধারণ ও রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিনের সেবামূলক কাজ ও সততার জন্য হামিদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, যা জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, একটি পুরোনো মামলার প্রেক্ষিতেই আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।