সংবিধান সংস্কারের পরিধি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়েছে এবিষয়ে গঠিত সংস্কার কমিশন।
আজ মঙ্গলবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে সংবিধানের পরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে – ‘সংস্কার’ এর অন্তর্ভুক্ত হবে বর্তমান সংবিধান পর্যালোচনাসহ জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের লক্ষ্যে সংবিধানের সামগ্রিক সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন, পুনর্বিন্যাস এবং পুনর্লিখন।
সাংবিধানিক সংস্কারের উদ্দেশ্য
১. দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতিশ্রুত উদ্দেশ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আলোকে বৈষম্যহীন জনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
২. ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনআকাঙ্ক্ষায় প্রতিফলন ঘটানো।
৩. রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপরিচালনায় সর্বস্তরে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা।
৪. ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোখ।
৫. রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ – নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ও ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়ন।
৬. রাষ্ট্র ক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকেন্দ্রীকরণ ও পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন।
৭. রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক এবং আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।