সিরাজগঞ্জ শহরের পৌর এলাকার গোশালা টিবি হাসপাতালের সম্মূখে সড়কের পশ্চিমপার্শ্বে বহুতল ভবনের ৪তুর্থ তলা থেকে পরে যাওয়া শ্রমিক রাকিবের অবস্থা আশংকা জনক। দূর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক রাকিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।এলাকাবাসীরা জানান, ভবনের কাজ চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা সহায়ক কোন সুব্যাবস্থা না থাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটেছে।
দূর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক রাকিব হোসেন জেলা রং মিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও শহরের শহিদগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়ার ছেলে ।
সুত্রে জানাযায়, গত (৩০ নভেম্বর) শনিবার প্রতিদিনের মতো শহরের পৌর এলাকার গোশালা টিবি হাসপাতালের সম্মূখে সড়কের পশ্চিমপার্শ্বে ভবন নির্মাণের পর ওই ভবনে রং এর কাজ করা হচ্ছে। বহুতল ভবনের রং কাজ চলাকালীন সময়ে কাজে নিয়জিত শ্রমিকদের নিরাপত্তা সহায়ক সেফটি বেল্ট,সেফটি জ্যাকেটসহ নিরাপত্তা সহায়ক কোনপুর সুব্যাবস্থা না থাকার কারনে কাজ চলা কালিন সময়ে ভবনের ৪তুর্থ তলা থেকে শ্রমিক রাকিব হোসেন নিচে থাকা টিনের ঘরের উপর পরে রক্তাক্ত মারাত্মক ভাবে আহত হয়।
এসময় স্থানীয়রা শ্রমিক রাকিবকে মারাত্মক ভাবে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। আহত শ্রমিক রাকিবের নাক,কান ও মুখদিয়ে অতিরিক্ত রক্ত ঝড়তে থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসকগন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
জেলা রং মিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম রবিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দগন জানান, সিরাজগঞ্জ জেলায় বর্তমানে কেবলমাত্র এই রং এর কাজই নয় ভবন নির্মাণ কাজে প্রকৃত পেশাদার ঠিকাদার দিয়ে কাজ না করে যেনতেন লোক দিয়ে অতি অল্প টাকা দিয়ে কাজ সম্পাদন করাই নিয়মে পরিনত হয়েছে। যা শ্রম আইনের পরিপন্থী এবং শ্রমবিনিয়োগ হুমকির মুখে ধাবিত হয়েছে। আর এ কারণেই শ্রমিকগন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার সময় শ্রমিকেরা বারবার দূর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে বলে জানান।