আমার বাবা নেই। ২ ডিসেম্বর ২০২২ সালে বাবা না–ফেরার দেশে চলে গেছেন। আজ ২ বছর হলো বাবার আদর এবং শাসন কোনোটিই পাইনি। এই অভাববোধ আমার জীবনে রয়েই যাবে।
বাবা শুধু একজন মানুষ নন, স্রেফ একটি সম্পর্কের নাম নয়। বাবার মধ্যে জড়িয়ে আছে বিশালত্বের এক অদ্ভুত মায়াবী প্রকাশ। বাবা নামটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো বয়সী সন্তানের হৃদয়ে শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসার এক অনুভব জাগে। বাবার ছায়া শেষ বিকেলের বটগাছের ছায়ার চেয়েও বড়। যিনি তাঁর সন্তানকে জীবনের সব উত্তাপ থেকে সামলে রাখেন।
পৃথিবীতে যাঁর বাবা নেই সে-ই বোঝে বাবার ভালোবাসা তার জন্য কতটা প্রয়োজন। মাঝিবিহীন নৌকা যেমন চালানো যায় না, তেমনি বাবা ছাড়া নিজের জীবনকে সামনে এগিয়ে নেওয়া অনেক কষ্টকর।
বাবার মৃত্যুর পর ২টি বছর অতিক্রম হয়ে গেছে৷ অনেক কিছুই পাল্টে গেছে।
কখনো বাবাকে বলা হয়নি, তোমাকে অনেক ভালোবাসি, বাবা। এখনো ঘুমের মধ্যে বাবাকে স্বপ্নে দেখি। আশপাশের সবকিছুতেই যেন বাবার অস্তিত্ব খুঁজে পাই। মনে হয় বাবা আমার সঙ্গেই আছেন। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন ওপারে আমার বাবাকে ভালো রাখেন।
বরাবরই বলে এসেছি বাবা একটি চরিত্র মাত্র। সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন মানুষ এই চরিত্রে অভিনয় করে যান। বাবা এমন একজন মানুষ, যিনি তার সর্বস্ব দিয়ে সন্তানকে আগলে রাখেন। ভালোবাসা, নির্ভরতা আর দায়িত্ববোধের বেড়াজালে যে মানুষটা আপনাকে আমাকে বড় করেছেন তিনিই আসলে বাবা। মা একজনই হন- যিনি জন্ম দিয়েছেন। সেই জায়গায় তুলনা করা সম্ভব নয়।
আজ আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পৃথিবীর সব বাবাকেই জানাই অন্তরের অন্তস্তল থেকে শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
মোঃ শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক আমাদের খবর।