প্রাচীনতম নাগরী গির্জা খৃষ্টানদের পরনো গির্জা সাধু নিকোলাসের পুরাতন গির্জা গাজীপুর জেলাস্থ কালিগঞ্জ উপজেলার নাগরী গ্রামে অবস্থিত। এটাকে নাগরী গির্জাও বলা হয়। পর্যটক তাভারনিয়ার ও মানরিকের বর্ণনা মতে, সবচেয়ে পুরনো গির্জা ১৬১২ সালে অগাস্টিয়ানদের নির্মিত। তবে সে গির্জার অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায় না। দ্বিতীয় পুরনো গির্জা টলেন্টিনির সাধু নিকোলাস বা নাগরী গির্জা যেটা ১৬৬৩ সালে নির্মিত। তবে বর্তমান পুরনো ভবনটি ১৬৬৩ সালে নির্মিত কি না তা নিয়ে রয়েছে মতান্তর। গির্জাটি এ উপমহাদেশেরও অন্যতম প্রাচীনতম গির্জা।
স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে ও পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তায় সাধু নিকোলাস গির্জাটি নির্মাণ করেন। পুরাতন গির্জাটির পাশেই বিশাল এলাকা জুড়ে আধুনিক ভাবে নতুন গির্জা ভবন নির্মিত হয়েছে। গির্জা এলাকায় বিশাল ২টি সমাধি রয়েছে। সবচেয়ে প্রচলিত মত হচ্ছে ভবনটির স্থানে পূর্বে কাঠ-খড় দিয়ে নির্মিত একটি গির্জা ছিল। একদা তা আগুন ধরে পুরো গির্জা পুরে গেলে, বর্তমান ভবনটি পুরে যাওয়া গির্জার স্থানে প্রতিস্থাপিত করা হয়। বর্তমান পাকা ভবনটি ১৮০০ সালের মাঝামাঝি কোনো এক সময় নির্মিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। পর্তুগিজ ভাষায় বাংলা ভাষার প্রথম যে ব্যাকরণ ও মিশনারি রচনাকারী পাদ্রী ম্যানুয়াল দ্যা অ্যাসুম্পসাও এই গির্জারই পাদ্রী ছিলেন এবং এ গির্জাতেই তিনি সে গ্রন্থ রচনার কাজ করেছিলেন।
দ্বিতীয় সবচেয়ে পুরানো গির্জাটি তেজগাঁও এর গির্জা। যেটি ১৬৭৭ সালে নির্মিত হয়। তেজগাঁও এবং টলেন্টিনির সাধু নিকোলাস গির্জা, এ দু’টিই পর্তুগিজরা নির্মাণ করে। মূলত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পর্তুগিজদের এ দেশে আগমন ঘটলেও ইউরোপীয়দের মধ্যে তারাই প্রথম ধর্ম প্রচার শুরু করে। স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে ও পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তায় সাধু নিকোলাস গির্জাটি নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের অধিকাংশই টলেন্টিনির সাধু নিকোলাসের গির্জাকে নাগরী গির্জা নামে চেনেন। টলেন্টিনির সাধু নিকোলাস গির্জা বা নাগরী গীর্জার খুব কাছেই পানজোড়া গির্জা বা সাধু এন্টোনিস গির্জা স্থাপিত ১৯০৬ সালে। যেখানে প্রতি বছর সাধু আন্তুনির তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।