চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বিভিন্ন মামলার ৯ বস্তা নথি (কেস ডকেট) একটি ভাঙ্গাড়ির দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানাধীন একটি ভাঙ্গাড়ির দোকান থেকে এসব নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ রাসেল নামে আদালত এলাকার এক চা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দা থেকে গায়েব হওয়া ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) মাত্র ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর এসব নথি একটি ভাঙ্গাড়ির দোকানে বিক্রি করেছিলেন চা বিক্রেতা রাসেল। আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাসেলকে গ্রেপ্তারের পরই এসব নথির সন্ধান মেলে।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, আদালত থেকে গায়েব হওয়া নথিগুলো উদ্ধারে গত তিনদিন ধরে আমরা কাজ করছিলাম। ওই নথিগুলো রাসেল নামে এক চা দোকানি চুরি করেছিল। তিনি আদালত চত্বরেই চা বিক্রি করেন। চুরির পরে তিনি ভাঙ্গাড়ির দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে নথিগুলো বিক্রি করে দেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত চা বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা বলেন, চট্টগ্রাম আদালতের হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথির গায়েবের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৯টি বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রাম আদালতের হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথি খোঁজ না পাওয়ায় গত ৫ই জানুয়ারি নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮-৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪শে এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ই ডিসেম্বর থেকে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।