বেসরকারি সংস্থা “স্পন্দনবি” Together for Brighter Tomorrow” এ ভাবনা সামনে রেখে “স্পন্দনবি বিদ্যালয়” এর জন্য বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো “অর্থ সংগ্রহ” অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উল্লেখ্য সূদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা কিছু বাংলাদেশির উদ্যোগে ১৯৯৮ সালএ প্রতিষ্ঠিত হয় “স্পন্দনবি” ইউএসএ। অন্যান্য কার্যক্রমের সাথে সাথে স্পন্দনবি ইউএসএ ২০১১ শুরু করে “স্পন্দনবি বিদ্যালয়”। ঢাকার মিরপুরে ২টি এবং মোহাম্মদপুর ২টি মোট ৪টি কেন্দ্রে কম আয়ের শিশুদের
গুনগত শিক্ষা, পুষ্টি, বিদ্যালয়ের সব উপকরণ ইউনিফর্ম, জুতো, স্কুল ব্যাগ, শিক্ষা উপকরণ, সাধারণ চিকিৎসা সেবা (দুইজন ডাক্তার স্কুলে শিক্ষদের পরিদর্শন করেন)।
২০১১ সালে খুবই ছোট পরিসরে শুরু হলেও ২০২৫ সালে জানুয়ারিতে কম আয়ের পরিবারের ১৪০০ জন শিশু “স্পন্দনবি বিদ্যালয়ের” আওতায় গুনগত শিক্ষাসহ সকল সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।এ বিশাল সংখ্যক শিশুদের জন্য ২০২৫ সালের জন্য আনুমানিক বাজেট ২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। এ বিশাল বাজেটের বেশির ভাগ অর্থ “স্পন্দনবি ইউএসএ” উত্তোলন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বাংলাদেশে বাসবার করা বিত্তবান মানুষকে “স্পন্দনবি” ভালো কাজের ব্যাপারে জানানো এবং সরাসরি যুক্ত করতেই আজকের অনুষ্ঠানে মুল লক্ষ্য। পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়ালের ম্যাধমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রথমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. আমেনা বেগম, কান্টি ডিরেক্টর, স্পন্দনবি বাংলাদেশ, প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা বিশব্বিদ্যালয়। স্পন্দনবি উপদেষ্টা মন্ডলির সদদ্যগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর মাস্তুরা খানাম, শাহীন আনম, ম. সগির হোসেন খান, আশিকুর রহমান, মেহেদি হাসান,এবং ড. রাকিব খান প্রমুখ।
অন্যান্য কার্যক্রমসহ অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচ্য বিষয় “স্পন্দনবি বিদ্যালয়” সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, স্পন্দনবি।
স্পন্দনবি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির পরের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ড. জাহা আফরোজ হামিদা ফ্লোরা, ইসি সদস্য, স্পন্দনবি ইউএসএ। অনুষ্ঠানের সার্বিক টেকনিক্যাল বিষয়ের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান তুহিন, পোগ্রাম ম্যানেজার, স্পন্দনবি।
অনুষ্ঠানের সকল বক্তগণ “স্পন্দনবি” কার্যক্রমে সকলকে যেন সহযোগিতার বাড়াতে পারেন সে ব্যাপারে আহবেন জানান। “স্পন্দনবি বিদ্যালয়ের শিশুদের নাচ, গানের বিশেষ উপস্থাপনা উপভোগ্য ছিল।